কিন্তু, অয়ন এবং শ্বেতার কী ভাবে পরিচয়? আর সেই পরিচয় কতটা ঘনিষ্ঠ ছিল যে অয়ন এবং শ্বেতা একসঙ্গে একটি ফ্ল্যাটেও থাকতেন? যতদূর জানা যাচ্ছে, কামারহাটি পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে জগন্নাথ নিকেতন নামের একটি ফ্ল্যাটে মামা-ভাগ্নির পরিচয় দিয়ে থাকতেন অয়ন-শ্বেতা। যদিও অয়ন কিন্তু, অনেক আগে থেকেই ছিলেন বিবাহিত। তাঁর একটি ছেলেও রয়েছে।
এমনকি, এই অয়ন শীলের হাত ধরেই টলিউডে পা রাখতে চেয়েছিলেন শ্বেতা। জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের প্রোডাকশন হাউসের প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমা 'কবাডি কবাডি'তে অভিনয়ে ডেবিউ হয়েছিল শ্বেতার। সিনেমার পরিচালক ছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায়। ছবিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাও। পরিচালকের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যায় অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতাকে
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের বাড়ি ও সল্টলেকের অফিস থেকে মিলেছে ২০১২-১৪ টেট-এর ওএমআর শিটের কপি। ইডি-র দাবি, এখান থেকেই হতো টেট-এসএসসির চাকরি বিক্রি। অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যেসমস্ত নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার মধ্যেই 'কাবাড্ডি কাবাড্ডি' ছবি-সংক্রান্ত কাগজপত্র ও ছিল। কোন কলাকুশলীকে কত পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে, খরচ বাবদ কোথায় কী টাকা লেগেছে, সব হিসেবের উল্লেখ মিলেছে সেখানে। তেমনই দাবি সূত্রের। সিনেমার পাশাপাশি একটি সিরিয়ালও নাকি বানানোর পরিকল্পনা ছিল অয়ন শীলের। তবে প্রযোজনায় ঢালা এই টাকার উৎস কী চাকরি বিক্রির টাকা ? সেটাই জানতে চায় ইডি।