দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। তবে মনে করা হয় শশাঙ্কের আমলে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে ইংরেজ আমলে সুন্দরবনের প্রাচীন এই মন্দির প্রথম সর্বসমক্ষে আসে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার এই অতি প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈশাখে বন্ধ থাকে কুমোড়ের চাকা, তৈরি হয় না মাটির জিনিস
advertisement
বড়াশির এই মন্দিরে বিরাজ করেন বাবা বজুরকিনাথ শিব। স্থানীয়দের দাবি, আগে মন্দিরের পাশ দিয়ে বাবা ভোলানাথ স্বয়ং হেঁটে যেতেন। এই মন্দিরে মানত করলে সব সমস্যার সমাধান হয় বলে বিশ্বাস। এর জন্য মানত করে পুণ্যার্থীরা মন্দিরের গায়ে ধাগা বাঁধেন। যা এখানে গেলেই দেখা যায়। গায়ে সর্বত্র বাঁধা রয়েছে।
এই প্রাচীন মন্দির সংক্রান্ত আরও একটি জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। স্থানীয়রা বলেন, অতীতে এই এলাকা যখন জঙ্গলাকীর্ণ ছিল তখন গরুর পাল এই মন্দিরের কাছে চলে আসত। সেই সময় এক রাখাল বালক গরুর খোঁজে মন্দিরের কাছে এসে দেখতে পান গরুর পাল নিজেরাই শিবলিঙ্গে দুধ দান করছে! এরপর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বাবা মহাদেবের মাহাত্ম্যের কথা। বর্তমানে চড়ক, আগুন ঝাঁপ উপলক্ষ্যে এলাকায় সংক্রান্তিতে মেলা বসে। সেই মেলায় ফল, গৃহস্থালির জিনিসপত্র সহ একাধিক দোকান বসে। বহু ভক্তের সমাগমে প্রকৃত অর্থে এই মেলা পরিণত হয় মিলনমেলায়।
নবাব মল্লিক