হাসপাতালে যখন নিয়ে আসা হয় আঞ্জুয়ারাকে তখনও কোনও জ্ঞান ছিল না তাঁর। এদিকে বারে বারে খিঁচুনি আসছিল। এই পরিস্থিতিতে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে বলেই মনে করছিলেন চিকিৎসকরা। দ্রুত তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। শরীরে দ্রুত অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। কোনওভাবেই রোগী শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার মত অবস্থায় ছিলেন না বলেই জানান চিকিৎসকরা।
advertisement
সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা মিলে আলোচনা করে রোগী স্থিতিশীল হলে তবেই সিজারের মাধ্যমে প্রসব করানো হবে। কিন্তু পরবর্তী ৮ ঘণ্টা কোনওরকম জ্ঞান ফেরেনি রোগীর। ধীরে ধীরে রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হচ্ছিল। তাই ওই অবস্থাতেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকলের সহযোগিতায় সফল অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে একটি সুস্থ শিশুর প্রসব হয়। রোগীকে ভেন্টিলেশনে রেখে প্রসব করানোর ক্ষেত্রে বিপদ প্রচুর বলে জানান চিকিৎসকরা।
এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে দশজনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গর্ভস্থ সন্তানদের মধ্যেও অর্ধেক ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয় শিশুর। এক্ষেত্রেও বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। শুক্রবার সন্তানকে নিজের কোলে নিয়ে আদরও করেছেন আঞ্জুইয়ারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আঞ্জুয়ারা নিজেই এখন সন্তানের যাবতীয় খেয়াল রাখতে পারবেন। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের এই তৎপরতায় যথেষ্ট খুশি রোগী ও রোগীর পরিবার পরিজনরা।
সুমন সাহা