ঘটনার পর এ বিষয়ে গ্রামে এসে খবর দিতেই সেখানে নেমে আসে শোকের ছায়া। এ বিষয়ে স্থানীয় বন দফতরের বসিরহাট রেঞ্জ অফিসে জানানো হলে, বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালালেও শেষ পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি দুঃখের। গত মঙ্গলবার সকালেও শিবপদ সরকার নামে এক মৎস্যজীবীকে কাঁকড়া ধরার সময় বাঘে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এখনও কোন খোঁজ মেলেনি সেই মৎস্যজীবীর। এ ব্যাপারে আমাদেরকে জানান লক্ষ্মী মন্ডল বলেন, “ দুজনেই কাঁকড়া ধরছিলাম। হটাৎ করে দুঃখে চিৎকার করে ওঠে। পিছনে ঘুরে দেখি বাঘ ওঁর ঘাড়ে কামড় বসিয়ে টানতে টানতে জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছে।
advertisement
আমি একা আর সাহস পাইনি বাঘের মুখ থেকে ওঁকে ছাড়িয়ে আনার।” সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টার তাপস দাস বলেন, “ এঁদের জঙ্গলে প্রবেশের কোন বৈধ অনুমতি ছিল না। বারে বারে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হচ্ছে যাতে কেউ জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে মাছ, কাঁকড়া না ধরেন, কিন্তু সেই কথা না শুনে জঙ্গলে প্রবেশ করলেই বিপদ ঘটছে। ওঁরা নিজেরা সচেতন না হলে চলবে না।” এখনো পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টা আগে ঠিক এই জঙ্গল থেকে শিবপ্রসাদ সরকার বাঘে টেনে নিয়ে গিয়েছে এখনো পর্যন্ত তার দেহে উদ্ধার হয়নি তার রেস কাটছে না কাটতে আবারো আর এক মৎস্যজীবীকে বাঘে টেনে নিয়ে গেল।
সুমন সাহা






