প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর মধ্যেই কোটালের জলে ফুলে ফেপে উঠতে শুরু করে সুন্দরবনের (Sundarbans) সমস্ত নদী। জলের ধাক্কায় ভেঙে যায় গোসাবা ব্লকের কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মৃধাঘেরি। দুর্যোগের রাতেই কুমিরমারিতে বাঁধ মেরামতিতে কাজে নামে স্থানীয় প্রশাসন। হাত লাগায় স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারাও। অপরদিকে, বাঁধ ভেঙে কোরানখালি নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ইয়াসের পর মূল নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্রামের মধ্যে বিকল্প আরও একটি বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। সেই বাঁধ-টিও এদিনের জলের তোড়ে ভেঙে যায়। বিপদ বুঝে রাতেই সেই বাঁধ মেরামতিতে নামেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে আসেন কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস মণ্ডল। রাতেই নদীতে ভাটার সময় মাটি, কাঠ, বালি সহ বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করে ভেঙে পড়া নদী বাঁধ মেরামতি করা হয়। ফলে পরে নতুন করে আর বাঁধ ভেঙে জল গ্রামে ঢুকতে পারেনি। এমনিতেই ইয়াসের সময়ে এখানকার সমস্ত চাষের জমিতে নোনাজল ঢোকায়, এবার আর চাষই করতে পারেননি কৃষকরা। এলাকার বাঁধের পরিস্থিতি দেখতে এদিন আসেন গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল ও বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী ।
advertisement
ভাঙা বাঁধের সেই জায়গায় নতুন করে যাতে আর না ভাঙ্গে তার জন্য, দু’টি জেসিবি নামিয়ে ভাঙা বাঁধ আরও সুদৃঢ় করা তোলাহয়। গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল জানান, 'কোর্টালের জলে প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নেতৃত্বে রাতেই ভাঙা বাঁধ মেরামত করে ফেলা হয়েছে। তাই নতুন করে আর জল ঢুকতে পারেনি।' গোসাবার বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, 'আগামী দিনে যাতে ওখানে আরও পোক্তভাবে বাঁধ দেওয়া যায়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেচ দপ্তরকে।'
বারে বারে সুন্দরবনের বুকে নেমে আসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খাড়া। তবুও হাল ফেরে না এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের জীবনযাত্রায়। তাই আবহাওয়া দপ্তর যখনই দুর্যোগের পূর্বাভাস দেয়,তখনই পুরনো স্মৃতি উস্কে আতঙ্কের দিন যাপন শুরু হয় সুন্দরবনে বাসীদের। কবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় সেদিকেই তাকিয়ে সুন্দরবনের এই দুর্গত মানুষেরা।






