জয়নগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোষ পাড়াতে বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বসবাস করে। বাবা পেশায় ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ। তিয়াসার ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি গান নিয়েও চর্চা করতো সে। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর জয়নগর ইনস্টিটিউশন স্কুলে কলা বিভাগে ভর্তি হয় তিয়াশা।
আরও পড়ুন: ১ দিনে ১ কেজি…! ম্যাজিকের মতো কমবে ওজন, ভ্যানিশ হবে পেটের চর্বি! এই সহজ কাজেই
advertisement
নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশন গার্লস স্কুলে তিয়াসার পরীক্ষার সিট পরে। সেখানেই সে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হুইল চেয়ারে করে পরীক্ষা দেয়। তিয়াসা এত বড় রোগের আক্রান্ত বলে তাকে আলাদা করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল নিমপীঠ গার্লস স্কুল পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: শিশু জন্মের পরই ‘কেঁদে’ ওঠে কেন? নবজাতকের কান্নার পিছনে রয়েছে ‘বড়’ কারণ!
তিয়াসা মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ প্রবল ছিল তার। কোনও বাধা তাকে আটকাতে পারেনি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সব কটি পরীক্ষা সে দিয়েছিল। টানা তিন বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনওভাবেই ভেঙে পড়েনি সে। পরিবারের বাবা-মার মন ভেঙে গিয়েছে মেয়ের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে একের পর এক ডাক্তার দেখিয়ে কোনও সুরাহা পাচ্ছে না তিয়াসার পরিবার।
যদিও এ বিষয়ে তিয়াসার বাবা এবং মা আমাদেরকে জানান ও পড়াশোনা যাই করুক না কেন সবার কাছে একটাই করুণা ও সুস্থ হয়ে ও আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। এটাই আমাদের আশা আর আমরা কিচ্ছু চাই না। ও জীবনে বেঁচে থাকুক এবং সুস্থ জীবনে ফিরে আসুক।
আরও পড়ুন: কোন বয়সে ‘কতক্ষণ’ ঘুমাবেন? বয়স অনুযায়ী ঠিক কতটা ঘুম ‘পারফেক্ট’? দেখে নিন তালিকা
মনের জোর যে শরীরের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পরাজিত করতে পারা যায় তার আরও একবার প্রমাণ দিলেন জয়নগরের তিয়াসা প্রামানিক। নিউজ 18 বাংলার তরফে আমরা সর্বান্তকরণে প্রার্থনা করি, শরীরের সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আবারও সুস্থ জীবনে ফিরে আসুক তিয়াসা।
সুমন সাহা





