দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই স্কুলের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল খোলার পরই দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলে। এই নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা বেঁধে যায়। আর তাতেই বন্ধ হয়ে যায় মিড ডে মিল তৈরি। এই ঘটনায় প্রবল ক্ষুদ্ধ ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয় মিড ডে মিলের চাল-ডাল সহ সমস্ত কাঁচামাল। চালের ড্রামে বড় বড় পোকা ঘুরে বেড়ায়। অভিভাবকদের দাবি ওই চালে রান্না করা ভাত খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে ছেলেমেয়েরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক আন্দোলন চা বাগানে
মিড ডে মিল বন্ধের খবর শুনে স্কুলে ছুটে আসেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, স্কুলে নিয়মিত মিড ডে মিল রান্না করা হয় না। এই অবস্থায় দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার পর স্কুলের শিক্ষক জানিয়ে দেন, কোন গোষ্ঠী রান্না করবে তা নিয়ে সমস্যার কারণে আজ মিড ডে মিল বন্ধ থাকবে। স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী। তাঁকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখন অভিভাবকরা। বিডিও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।
সুমন সাহা