জন্মসূত্রে উত্তরবঙ্গের মেয়ে হলেও বেশ কয়েক বছর তিনি কলকাতাতেই থাকেন। স্বামী পিনাকি শ্বশুর, শাশুড়ি আর চার বছরের ছেলে অর্ককে নিয়ে খুব সাধারণভাবেই সংসার ঠেলতে দিন চলে যায় তাঁর। তারই মাঝে তাঁর প্রিয় অনুষ্ঠান কৌন বনেগা ক্রোড়পতি তিনি নিয়মিত দেখেন। ইচ্ছা ছিল বহুদিনের। ২০০৫ সাল থেকে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই অনুষ্ঠানে পার্টিসিপেট করার। ১৮ বছর পর শেষ পর্যন্ত তিনি পৌঁছে যান হট সিটে বিগ বি-র সামনে।
advertisement
আরও পড়ুন– বিয়ের দিনেই কনের চাকরি, আনন্দে ভাসলেন বিয়েবাড়ির সকলে
বাঙালি হলেও তাঁর হিন্দি বলা শুনলে আপনার মনে হবে তিনি অবাঙালি। না! তিনি নিজেকে তৈরি করেছেন এতদিন ধরে। অভ্যাস করেছেন ভাল করে হিন্দি বলার। টিভি, খবরের কাগজ আর কিছু পড়াশুনাও করেছেন কাজের ফাঁকে এই খেলায় অংশ নেবেন বলে। এই অনুষ্ঠানে তিনি কয়েক লক্ষ টাকা জিতেছেন। যদিও তিনি বলেন তাঁর হট সিটে যাওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। কথার ফাঁকে আলোলিকা জানান এই পুরষ্কারের টাকা তিনি ছেলের পড়াশুনা ও ভাইয়ের জন্য খরচ করবেন। তাঁকে এই খেলায় অংশ নিতে সাহায্য করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন– শতাব্দীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিয়ে, মেয়ের বিদায়ে জলের মতো ৫ বিলিয়ন টাকা খরচ করলেন বাবা
কেমন লাগছে তাঁর এই অনুষ্ঠানে পুরষ্কার জিতে? এ প্রশ্নের উত্তরে সদাহাস্যময়ী আলোলিকা জানান তিনি ভীষণ খুশি। মুম্বই থেকে বাড়িতে ফিরলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ফুলের তোড়া নিয়ে সংবর্ধনা দেন। এ এক অন্য আনন্দ তাঁর কাছে। হাসতে হাসতেই তিনি অনেক গল্প শেয়ার করেন আমাদের সঙ্গে। একই সঙ্গে তিনি দিলেন টিপসও। যদি কেউ যেতে চান কেবিসি-তে তবে তাঁকে প্রথমেই রাখতে হবে নিজের উপর বিশ্বাস। আর চেষ্টাতে সবকিছুই হয় বলে তিনি মনে করেন।
সব মিলিয়ে এটা বলাই যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অ্যাকটিভ না হলেও তাঁর সরল সাধারণ আর সাবলীল হাসিই যে তাঁকে আজ পৌঁছে দিয়েছে দেশের মানুষের কাছে। আজ তিনি হাসির আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন গোটা সমাজে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন