স্থানীয় সূত্রের খবর, আট ভাই বোনের মধ্যে সেজো সামীর। অভাবের সংসারের হাল ধরতে বর্ধমান জেলার মেমারির একটি মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক পাশ করে সামীর কলকাতায় একটা জুতো তৈরির কারখানায় কাজ করত। এরপর কাজ ছেড়ে পাঁশকুড়াতে মাওলানা হওয়ার জন্য পড়াশোনা করেন। গত দু'বছরের বেশি সময় ধরে ডায়মন্ড হারবারের আব্দালপুর মসজিদের ইমাম ছিলেন। বছরখানেক আগে বিয়ে করে সামীর। স্ত্রী বর্তমানে সন্তানসম্ভবা। জঙ্গি যোগের খবর পেয়ে এসটিএফের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে দেউলপোতা গ্রামে সামীরের বাড়ি ঘিরে ফেলে ডায়মন্ড হারবার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে ও ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি অনুদ্রুতি মজুমদার। তল্লাশি অভিযানের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল সামীর। পরে পুলিশের একটি দল গ্রামের ভেতরে অন্ধকারের মধ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকা সামীরকে গ্রেফতার করে।
advertisement
আরও পড়ুন: টেট পাশ না করে, টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি! স্ত্রীর দুর্নীতি ফাঁস করলেন প্রাক্তন স্বামী!
পুলিশ সূত্রের খবর, সামীরের বাড়ি থেকে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেছে এসটিএফের তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট’ এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যোগ ছিল সমীরের। পরে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক জনের সন্ধান পায় তদন্তকারী অফিসাররা। শুক্রবার এই ঘটনার পর থেকে গোটা দেউলপোতা গ্রাম ছিল থমথমে। সামীরের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।
নবাব মল্লিক






