বুধবার জয়নগরে ফেরেন তপন বিশ্বাস। তাঁর এই জয়ে খুশি গোটা দেশ। গোটা দেশবাসীর পাশাপাশি জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার মানুষ ও তাঁর নিজের ক্লাব গহেরপুর বিবেকানন্দ সমিতিও আনন্দে আত্মহারা । জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার তৃণমূল পরিচালিত পৌরবোর্ডের ১ম বর্ষপূর্তিতে তাঁকে বিশেষ ভাবে সম্মান জানানোর কথা ঘোষণা করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার ও ভাইস চেয়ারম্যান রথীন কুমার মণ্ডল।
advertisement
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে প্রতিদিন জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের গহেরপুর বিবেকানন্দ সমিতির ব্যায়ামাগারে নিয়মিত ব্যায়ামচর্চা করে চলেছেন তোন বিশ্বাস। গরীব ঘরের সন্তান হয়ে সামান্য জমিতে চাষ করে জীবিকা শুরু। সেখান থেকেই নিজের জেদ ও অদম্য ইচ্ছায় আজ তিনি একজন সফল ব্যায়ামবীর। জয়নগর মজিলপুর জে এম ট্রেনিং স্কুলে মিড-ডে মিলের রাঁধুনির কাজ করে অতিকষ্টে দিন গুজরান হয় তাঁর। তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী আছে। এই চরম দারিদ্রের মধ্যেও দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ভাঁটা পড়েননি চর্চায়। নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সাধনার কাজ।
ইতিমধ্যে রাজ্য স্তরে পাওয়ার লিফটিং-এ ১২ বার প্রথম স্থান ও ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল তিনি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন।১৯৯২ সালে কলকাতার বেলেঘাটা তরুণ সংঘের হওয়া রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় ২য় এবং জয়নগরে ১৯৯৮ সাল ও ২০০০ সালে হওয়া রাজ্য প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। গুরগাঁও শহরের বাদশাপুরে হওয়া জাতীয় বেঞ্চপ্রেস প্রতিযোগিতায় ৮০ কেজি ওজন তুলে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন। রাজস্থানেও গিয়েছিলেন। বর্তমানে চরম দারিদ্রের মধ্যে থেকেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই তো নেপালের কাঠমাণ্ডুতে ভারতের প্রতিনিধি হয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। তাঁর পাশে দাঁড়ায় তাঁর ক্লাব গহেরপুর বিবেকানন্দ সমিতি। এগিয়ে এসেছেন জয়নগর মজিলপুর পৌরসভা-সহ এলাকার বহু সাধারণ মানুষ।
সুমন সাহা