এবছর ইলিশ ধরার মরসুমে একাধিকবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সমুদ্র থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সম্প্রতি মাছ ধরতে যাওয়ার পর আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মৎস্যজীবীদের একাধিক ট্রলার সমুদ্রে ডুবেও যায়। সেজন্য মরশুমের শুরু থেকে ইলিশ মাছ মৎস্যজীবীদের জালে আসছিল না। মাছ ব্যবসায়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছিল। ইলিশ ধরার মরশুমের আর কিছুদিন মাত্র বাকি। তবে মরশুমের শেষে এই অনুকূল আবহাওয়ায় খুশি মৎস্যজীবীরা।
advertisement
ইলিশের ভরা মরসুমে একাধিকবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটায় মাছ ব্যাবসায়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে ইলশেগুড়ি শুরু হওয়ায় নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন মৎসজীবীরা। পুরানো সব কিছু ভুলে নতুন করে আবারও মাঝ সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘী সহ একাধিক ফিশিং হারবার ও জেটিঘাট থেকে কয়েক হাজার মৎস্যজীবী পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্রে। ইলিশ ধরার জন্য এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। ইলশেগুড়ির সঙ্গে পূবালী হাওয়াও রয়েছে সমুদ্রে। এই দুটি একসঙ্গে থাকলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ছুটে আসে মোহনার দিকে। সেক্ষেত্রে জালে ইলিশ পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভোজনরসিক বাঙালির পাতে পড়তে পাড়ে ইলিশ মাছ। এবছর যে ইলিশ মাছের সংকট দেখা দিয়েছিল পূবালী হাওয়া ও ইলশেগুড়ির সংমিশ্রণ সেই সংকট দূর করতে পারে বলে মনে করছেন মৎসজীবীরা।
নবাব মল্লিক