পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় অনিমাকে বাড়িতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার বিকেল নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দাররা বাড়ির ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ পান। এরপরই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় পরে আশেপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়। এলাকার বাসিন্দারা ওই বাড়িতে গেলে, তাঁরা আরও বেশি পচা দুর্গন্ধ পান। সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায়।
advertisement
পরে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে, কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর ওই বাড়ির পিছনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তির নাম মনোরঞ্জন জানা।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, মনোরঞ্জনের সঙ্গে ওই মহিলা প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের টানাপোড়নের জেরেই খুন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। এই ঘটনায় পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা সহ তথ্য প্রমাণ লোপাট, একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
আরও পড়ুন: রবিতে নীতীশ, মঙ্গলেই মমতা! কলকাতায় আসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হঠাৎ কী জরুরি দরকার?
ধৃতকে রবিবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, মনোরঞ্জন জানার বাড়িতে অনিমা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করত। সেই সময় থেকে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মনোরঞ্জন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক বলে জানা যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হারউড পয়েন্ট কোষ্টাল থানার শ্রীনগর গ্রামে।
বিশ্বজিৎ হালদার