গত কয়েক বছরে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। এর ফলে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদাও বেড়ছে। এইসব পণ্য একবার খারাপ হয়ে গেলে তা অনেকেই ফেলে দিয়ে নতুন কিনে নেয়। এতে ইলেকট্রিক বর্জ্যের পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই ইলেকট্রিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। কারণ এগুলো মাটির সঙ্গে মিশে যায় না।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রামে মদ বিক্রি বন্ধের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ মহিলাদের
ই-বর্জ্যতে থাকে সীসা, পারদ সহ অন্যান্য ভারী ও ক্ষতিকারক ধাতু। ফোন, ল্যাপটপ, স্মার্ট ওয়াচ, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের মতো ই-বর্জ্য যেখানে-সেখানে পড়ে থাকলে তার মধ্যে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকারক ধাতু শরীরের মিশে ভয়ঙ্কর অসুখ হতে পারে। সেই সঙ্গে এইগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট করে দেয়। তার ফলে ফসল উৎপাদন কমে যায়। এই বিপদ থেকে বাঁচতে এবং প্রতিবছর জেলায় যে বিপুল পরিমাণ ই-বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে তা নিয়ে কী করা যায় সেই বিষয়টি বিস্তারিত এই বৈঠকে আলোচনা হয়।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও ওয়েবেল এই আলোচনা সভার মূল উদ্যোক্তা ছিল। এই ই-বর্জ্যগুলিকে ফেলে না দিয়ে সেগুলিকে পুন:ব্যবহারযোগ্য করে তোলার উপর জোর দেওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই বৈঠকে। এক্ষেত্রে রিফারবিশিং, ডিসমানটিং ও রিসাইক্লিংয়ের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। এখন থেকেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারলে আগামী দিনে পরিবেশের জন্য এই ই-বর্জ্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
নবাব মল্লিক