স্থানীয় কেবল অপারেটর পিন্টু মাঝি বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে অফিসে গিয়ে দেখেন অফিসের বাইরে রাখা একটি চারচাকা গাড়ি ও একটি বাইকে বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এছাড়াও অফিসের একাধিক ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ভাঙচুরের পাশাপাশি কেবলের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি লুটপাট চালানো হয়েছে।
এমনকী অফিসটির টালি ও অ্যাজবেস্টসের ছাউনী ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। আতঙ্কিত ব্যবসায়ী পিন্টু মাঝি ফোনে জানান, ‘‘গোটা ঘটনা বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। দুবার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে দেখে গিয়েছে। ছবিও তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমি ভীষণভাবে আতঙ্কিত। আমার কেবল ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ফোনে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে আমি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’’
advertisement
আরও পড়ুন: ভ্যানে ধাক্কা দ্রুত গতির বাইকের! বাসন্তীতে পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতি
যদিও পরে পিন্টুবাবুর থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফলতা থানার পুলিশ। এমনকি পিন্টুবাবুকে ফোন করে কেবল ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত ব্যবসায়ী পিন্টু মাঝি ও তার পরিবারের লোকজনেরা।
তবে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বিধান পাড়ুইয়ের অভিযোগ, ‘‘ফলতা বিধানসভাজুড়ে তোলাবাজির পাশাপাশি সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা দুষ্কৃতীরা। পরিকল্পিতভাবে ফলতা এলাকার তৃণমূলের এক যুবনেতার নেতৃত্বে এই কাজ চলছে। অথচ সবকিছু জেনেও চুপ তৃণমূল নেতৃত্ব।’’
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবার যাদবপুর সংগঠনিক জেলার মহিলা নেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাস জানান, ‘‘রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা ঘটনা ঘটিয়েছে। সেটা কেউ দেখেনি। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। বিরোধীরা জোর করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে তো হবে না। সেটা প্রমাণ করতে হবে। যদি পুলিশ তদন্ত করে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কারোর যোগ পায়, তাহলে নিশ্চয়ই আইনত ব্যবস্থা নেবে। দল কখনো এই ঘটনাকে সমর্থন করে না।’’ বর্তমানে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
নবাব মল্লিক