বিগত ১৮ বছর ধরে এভাবেই জীবিকা নির্বাহ করেন চিত্তরঞ্জন। ছোটবেলায় বাবা মারা গিয়েছেন। সাত বছর বয়সে বাবা মারা যাওয়ায় পর থেকেই বাঁশি নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।
মা ও পাঁচ ভাই বোনদের মুখে ভাত তুলে দিতে বাঁশি বাজাতেন রাস্তায় রাস্তায় বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে। তবে বর্তমানে স্ত্রী, সন্তান ও মাকে নিয়েই বর্তমানে সংসার তাঁর। এখন শিয়ালদহ দক্ষিন শাখার ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং অথবা বারুইপুর লোকালে মাঝে মধ্যেই দেখা মেলে চিত্তরঞ্জনের। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লোকাল ট্রেনের কামরায় মাঝে মধ্যেই শোনা যায় তাঁর বাঁশির সুর।
advertisement
নিত্যযাত্রীদের অনেকেই চিনে নিয়েছেন সোনারপুরের চিত্তরঞ্জন শিকদারকে। না, শুধু বাঁশির সুরে যাত্রীদের মুগ্ধ করার জন্য নয়, বছর তিরিশের এই যুবক সবার নজর কেড়ে নেন অন্য কারণে। মুখ দিয়ে নয়, চিত্তরঞ্জন বাঁশি বাজান নাক দিয়ে। ট্রেন যাত্রীরা তাঁর এই প্রতিভা দেখে মুগ্ধ। তাঁরাও চাইছেন ভাইরাল হওয়া উচিৎ চিত্তরঞ্জনের এই প্রতিভা।