Viral News|| জিভ বাঁশিতে সুর তোলেন, ৫০ বছর ধরে 'বাঁশি'ই হজরতের জীবনের ত্রাতা

Last Updated:

Hajrat Shekh the natural flute player practicing for last 50 years: হজরত শেখের বয়স হয়েছে প্রায় আশি বছর। বেশি বাঁশি বাজালে শ্বাসকষ্ট হয়। তবুও নেশা তো ছাড়া যায় না। তাই রোজই মুখের ভিতর জিভ বাঁশি নিয়ে হজরত ডায়মন্ড হারবার থেকে কলকাতায় চলে আসেন।

 হজরত শেখ।
হজরত শেখ।
#কলকাতা: বাইরে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই কোথা থেকে আসছে এই সুরেলা আওয়াজ। অথচ একটার পর একটা হিট গান বেরিয়ে আসছে মুখ থেকে। পুরনো দিনের গান তো বটেই বর্তমান সময়ের অন্যতম ভাইরাল কাঁচা বাদামের সুরেও মাতিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। পার্কে, স্টেশনে, স্কুল, কলেজের সামনে সেই সুর তুলেই দিনে ২০০-৩০০ টাকা রোজগার। আর এর থেকেই গরম ভাতের যোগান। আগে অবশ্য আয়টা অনেকটাই বেশি হত। এখন হজরতের বয়স হয়েছে প্রায় আশি বছর। বেশি বাঁশি বাজালে শ্বাসকষ্ট হয়। তবুও নেশা তো ছাড়া যায় না। তাই রোজই মুখের ভিতর জিভ বাঁশি নিয়ে হজরত ডায়মন্ড হারবার থেকে কলকাতায় চলে আসেন।
আরও পড়ুন: সারিবদ্ধ শুকনো গাছের কঙ্কাল, কী কারণে প্রকাণ্ড গাছ গুলি শুকিয়ে যাচ্ছে?
নেশাটা ধরেছিল অবশ্য বছর ষাটেক আগে। বম্বের এক শিল্পীকে বাজাতে দেখে তারই কাছ থেকে হজরত জোগাড় করেছিল জিভ বাজি। সেই বাঁশিই একটা সময়ে নেশা ধরে গিয়েছিল। শরীরের একটা অঙ্গের মতোই মুখের ভিতর সারাদিন ওই জিভ বাজি পুড়ে গান গাইতেন যুবক হজরত। একটা সময় সেই নেশাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। পিতলের বদলে লোহার চাকতি ফুটো করে সেই বাঁশি বানানো শুরু করেন। বাজানোর পাশাপাশি সেই বাঁশি বিক্রিও করতেন তিনি। বিয়ে করে সংসার করেন। ছেলেপুলে মানুষ করেন। সম্প্রতি পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে স্ত্রীর চিকিৎসাও করান হজরত। নিজের এক ছেলে এই শিল্পটা শিখলেও পেশা হিসেবে বেছে নেয়নি। তবে হজরতও নেশা ছাড়েননি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চান হজরত। গেয়ে চলেন "ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে। ছোড়েঙ্গে দম মাগার তেরা সাথ না ছোড়েঙ্গে।"
advertisement
আরও পড়ুন: জলের লাইন খুঁড়তে গিয়ে এ কী কাণ্ড! নবাবের শহর মুর্শিদাবাদ তোলপাড়...
ডালহৌসিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তাপস রায়। তিনি বলেন, "বহু বছর ধরে এনাকে বাঁশি বাজাতে দেখছি। কী অদ্ভুত ভাবে বাজিয়ে চলেছেন। একটা টিনের চাকতি কেটে বাঁশি বানিয়েছেন। আর তাতে কী সুন্দর সুরেলা শব্দ। কত ভালো ভালো গান নিখুঁত ভাবে তুলেছেন। এত প্রতিভা স্বত্বেও মানুষটা কোনও স্বীকৃতি পেল না।"
advertisement
advertisement
ব্যবসায়ী দীপঙ্কর শীল বলেন, "মাঝেমধ্যেই দেখি এই লোকটা বাঁশি বাজাচ্ছেন। কিন্তু কোনও দিন সেই বাঁশি দেখতে পেতাম না। একদিন দেখতে চেয়েছিলাম। মুখের ভিতর থেকে বের করে দেখিয়েছিলেন। আগে অনেক গান করতেন। এখন বেশি পারেন না। শ্বাসকষ্ট হয় বলে। অর্থকষ্ট রয়েছে। এই বয়সেও বেরোতে হয় রোজগারের জন্য। এই রকম লুপ্তপ্রায় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এরকম শিল্পীদের পুরষ্কৃত করা উচিত।"
advertisement
অনেক পাওয়া না পাওয়ার মধ্যেও শিল্পী রয়েছেন নিজের শিল্পকে আঁকড়ে ধরেই। তিনি বলেন, "নিজের সবচাইতে প্রিয় জিভ বাঁশি নিয়ে ভালোই আছি। আর কে কী দেবে সেটা বড় কথা নয়। এই জিভ বাঁশিই গত পঞ্চাশ বছর ধরে পেটের ভাত জুগিয়ে যাচ্ছে। এখনও এটাই ভাত দিচ্ছে। আমি যেমন আমার শিল্প বাঁচিয়ে রেখেছি। তেমনই আমার শিল্পও আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।"
advertisement
UJJAL ROY
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Viral News|| জিভ বাঁশিতে সুর তোলেন, ৫০ বছর ধরে 'বাঁশি'ই হজরতের জীবনের ত্রাতা
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement