এই মূহুর্তে দক্ষিণ ২৪ পরগণার অন্যতম ক্রমবর্ধমান শহরের তালিকায় সবচেয়ে উপরে নাম সোনারপুরের।কলকাতা পুরসভা লাগোয়া রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা ইতিমধ্যে চার লক্ষের অধিক। কোভিড পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে মানুষের জীবন-জীবিকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ জীবন জীবিকার সন্ধানে নিয়মিত ঘাটি গাড়ছেন কলকাতার উপকণ্ঠে সোনারপুরে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের বাড়িতে গৃহ পরিচারিকা থেকে আয়া, ছুতোর, রাজমিস্ত্রি, প্যাথোলজিস্ট, ড্রাইভার থেকে পুরোহিত যা কিছু দরকার তার হদিশ দিচ্ছে পুরসভার নগর জীবন কেন্দ্র। কেন্দ্রের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই পেয়ে যাওয়া যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির ফোন নম্বর।
advertisement
কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এন ইউ এম এল দপ্তরের অধীনে বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্ম মুখী পেশাদার কাজের জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয় পুরসভার নগরজীবন কেন্দ্রে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ট্রেনিং পাওয়ার পর ছেলে মেয়েরা কেউ কেউ নিজেদের মত করে জীবিকা খুজে নেন। আবার কেউ কেউ পুরসভার নগর জীবিকা কেন্দ্রে নাম লেখান এলাকায় পরিষেবা দেওয়ার জন্য। নগর জীবন কেন্দ্রের ম্যানেজার শমীক গোস্বামি জানালেন, ‘এই কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর বিভিন্ন পেশার বহু মানুষ, কাজ করার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। অপরদিকে, পরিষেবা চেয়ে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ফোন করেন টোল ফ্রি নম্বরে।‘
নগর জীবন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আরেক আধিকারিক অরিজিত বসু বলেন, 'বিভিন্ন পেশায় নূন্যতম তিন থেকে ছ মাসের ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে। এজন্য পনেরো থেকে কুড়ি হাজার টাকা খরচ হয় প্রত্যেকের জন্য। প্রশিক্ষন শেষে আবার ব্যাঙ্ক থেকে লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।'
নগর জীবন কেন্দ্রের মাধ্যমে এলাকার যুবকদের বহু মুখী কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নাগরিকদের নানাবিধ সমস্যা বা চাহিদার সমাধান হচ্ছে বলে দাবি করলেন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অমিতাভ চৌধুরী। তিনি বলেন, 'সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলে বেকার ছেলেরা একটা দিশা পাচ্ছে। আর নাগরিকদেরও পরিষেবা মিলছে খুব সহজে।'
রুদ্র নারায়ন রায়