দোতলা পাকা স্কুলবাড়ি আছে। আছে পড়ুয়াও। কিন্তু নেই কোনও স্থায়ী শিক্ষক। আর তাই বর্তমানে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও এলাকার তিনজন স্থানীয় যুবক-যুবতী কোনক্রমে পঠনপাঠন চালিয়ে স্কুলটির অস্তিত্ব ধরে রেখেছেন। পঞ্চম থেকে অষ্ঠম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি ক্লাসের জন্য শিক্ষক না থাকায় দুটি-তিনটি ক্লাসের পড়ুয়াদের নিয়ে একসঙ্গে চলে ক্লাস।
আরও পড়ুন: বালির গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু, দেহ উদ্ধারে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ
advertisement
এভাবে স্কুলের পঠনপাঠন কার্যত শিকেয় উঠেছে। অসুস্থতার জন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সপ্তাহে রোজ স্কুলে আসতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যতে কথা ভেবে স্কুল পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন।
গ্রামের ছেলেমেয়েদের অক্লান্ত চেষ্টা সত্ত্বেও পাথরপ্রতিমার এই জুনিয়র হাইস্কুলের ভবিষ্যৎ সত্যিই অন্ধকারে নিমজ্জিত। কারণ শিক্ষকের অভাবের কারণে নতুন করে আর কোনও অভিভাবক তাঁর ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। যারা আছে তাদেরও অনেকে টিসির আবেদন জানিয়েছে। এই বিষয়ে কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
নবাব মল্লিক