আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর প্রথম বামপন্থীদের হাতছাড়া রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েত
বারুইপুরের ঐতিহ্যবাহী বিশাল এই জলাশয়টির বেহাল দশা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব স্থানীয়রা। কলপুকুর বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের তৈরি একটি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে রেল সহ বিভিন্ন দফতরে কলপুকুর সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। দিন কয়েক আগে ওই সংগঠনকে পুকুর সংস্কারের দায়িত্ব নিতে বলে রেল। কিন্তু অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কোনও দফতর পাশে দাঁড়ায়নি। ফলে সংগঠনের পক্ষে পুকুর সংস্কারের খরচের বোঝা সামলানো সম্ভব হয়নি। এরপর ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
advertisement
হাইকোর্টের রায়ের পর সংগঠনের সদস্য কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই জলাশয়টি দিনে দিনে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। আদালতের রায়ের পর আশা করি এবার এটি পুরনো অবস্থায় ফিরবে। অভিযোগ, রেল ও পুরসভা দু’পক্ষই কলপুকুরে আবর্জনা ফেলত। স্থানীয় প্রশাসনের মদতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জলাশয়ের একাংশ বুজিয়ে ফেলার অভিযোগও ওঠে। বারুইপুরের পুরপ্রধান শক্তি রায়চৌধুরী অবশ্য বলেন, পুরসভা ওখানে আবর্জনা ফেলেনি। ওটা রেলের জায়গা, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রেলের। আদালত রেলকেই দায়িত্ব দিয়েছে। এ ব্যাপারে যারা জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন তাঁদের অন্যতম আইনজীবী গৌতম সরদার বলেন, দিন কয়েক আগে এই এলাকায় আরও একটি বুজে যাওয়ায় সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। আশা করি কলপুকুরের ক্ষেত্রে সেরকম হবে না। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, আদালতের নির্দেশ এলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমন সাহা