দক্ষিণ বারাসতের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে পোস্টার পড়ে। তাতে লেখা আছে, 'সাংসদ ও বিধায়কের নাম না রেখে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা হল কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ জবাব দাও'। এই বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবদীপ ভট্টাচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অন্য একটি ব্যাখ্যা দেন। বলেন, স্থানীয় বিধায়ক যেহেতু আমাদের বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, তাই তিনি নিজে বারবার আমাকে অনুরোধ করেছেন আমন্ত্রণপত্রে নাম না রাখার জন্য। প্রধান শিক্ষকের দাবি, বিধায়ক জানিয়েছেন যে আমন্ত্রণ পত্রে তাঁর প্রাক্তন শিক্ষকরা থাকবেন সেখানে তার নাম দেওয়া ধৃষ্টতার পরিচয় হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় করুণ পরিণতি হল প্রাক্তন সেনা জওয়ানের
এলাকার বিধায়ক প্রাক্তন ছাত্র হিসেবেই স্কুলের ৭৫ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন এমনটাই দাবি শিবদাস আচার্য উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের। বিধায়কের কথাতেই তারা নাম আমন্ত্রণপত্রে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে এলাকার সংসদের নাম আমন্ত্রণপত্রে না থাকা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, সাংসদকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কার্ডে ওনার নাম নেই। কিন্তু যথাযথ সম্মান দিয়েই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও সাংসদ এবং বিধায়ককে নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নয় এলাকাবাসীর একাংশ।
সুমন সাহা