পুলিস সূত্রে খবর, বারুইপুর ও জয়নগর সীমান্তের বেশকিছু এলাকা বেশ গণ্ডগোলের। এমনকি, ক্যানিং-বারুইপুর সীমান্তেও সমস্যা আছে। এইসব এলাকায় দুটি বা তিনটি থানা মিলিয়ে পুলিসের যৌথ টহলদারি করা হবে। পাশাপাশি, গোসাবার শম্ভুনগর পুলিস ক্যাম্পে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করে এলাকায় আরও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, "পুলিস জেলার অন্য থানা এলাকাগুলিতেও পুলিস ক্যাম্প করারও চিন্তাভাবনা চলছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তি যেতেই সুন্দরবনের 'রক্ষক' বনবিবি-র পুজো শুরু
বারুইপুর পুলিস জেলা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বারুইপুরের জয়াতলা, জয়নগরের ধোসা ও ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকা গণ্ডগোল প্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই নিয়ে পুলিস আধিকারিকদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। এই সব এলাকায় পুলিস ক্যাম্প থাকলেও বাড়তি টহলদারির উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে যাতে কোনও বড় ঘটনা না ঘটতে পারে সেই দিকেই নজর আধিকারিকদের। বারুইপুরের উত্তরভাগ দিয়ে জয়াতলায় যেমন সহজেই যাওয়া যায়, তেমনই একই পথ ধরে কম সময়ে জয়নগরের ধোসা ও ক্যানিংয়ের ধর্মতলায় চলে যাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই মাসে ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ দুই কর্মী খুন হয়েছিলেন। খুনের পর অভিযুক্তরা এই পথ ধরেই পালাতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যদিকে, গোসাবার শম্ভুনগরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকে। এই দিকে নজর দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ওই এলাকার পুলিস ক্যাম্পে বাড়তি ফোর্স পাঠিয়েছে বারুইপুর পুলিস জেলা।
সুমন সাহা