তবে এটি তৈরি করা প্রচণ্ড সময়সাপেক্ষ এবং প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। সারাদিনে একটি তালগাছে তিন বার গাছে উঠতে হয় তারপর সেই গাছ ভাল করে ছাড়িয়ে তাল গাছের ডগা কেটে সেই গাছে হাড়ি ঝুলিয়ে তালের রস সংগ্রহ করতে হয়। তার পর সেই রস গাছ থেকে নামিয়ে উনুনে আগুন দিয়ে জ্বাল দিয়ে যখন গুড় দানা হয়ে আসবে তারপর তালের একটি ডগা দিয়ে সেটাকে হাতের সাহায্যে ভাল করে নাড়তে হবে যাতে গুড় বসে না যায়।
advertisement
তারপর ওই রস চিট হয়ে গেলে যে কোনও কাপড় বা বস্তার উপরে ফেলে দিতে হবে যেন আপনি যে কোনও ডিজাইন করতে পারেন। তার পর একটু ঠান্ডা হলে ছুরি বা অন্য কোনও ধারালো কিছু দিয়ে বিভিন্ন আকৃতিতে কেটে নিতে হবে।
আরও পড়ুন : আসছে রাম নবমী! কবে পালিত হবে এই পুণ্যতিথি? জানুন শুভ মুহূর্ত
আর এই তালের গুড় দিয়ে প্রয়োজনীয় অনেক খাবারের মেনু তৈরি করতে পারেন। মূলত যে কোনও ধরনের পিঠে পায়েস সিমুই তো বটেই৷ এছাড়া এই গরমে তালের গুড় দিয়ে শরবত বানিয়েও খেতে পারেন। যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাঁরাও কিন্তু চিনির বদলে এই তালের গুড় নিয়মিত খেতে পারেন। ব্লাড সুগার থেকেও অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়। তবে চাহিদা থাকলেও শিউলিরা সেভাবে দাম পান না. এই তালের গুড় ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রয় হয়৷ যাতে শিউলিদের পারিশ্রমিকের দামও ওঠে না।