২০২৩ এর গঙ্গাসাগর মেলা ভিড়ের নিরিখে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে থিক থিক করছে কালো মাথা। তবে এই রেকর্ড ভিড় সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার ফলে নিরাপত্তা বা অন্যান্য যাবতীয় বন্দোবস্ত সবই ঠিকঠাক কাজ করছে। সেইসঙ্গে পরিবেশ ও গঙ্গা দূষণ রুখতে এবারের মেলাকে প্লাস্টিক ফ্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
প্লাস্টিক মুক্ত গঙ্গাসাগর মেলা করার জন্য বকখালি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জৈব পলিমার ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের মধ্যে। দোকানদার থেকে দর্শনার্থী, সকলকেই এই জৈব ব্যাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে গঙ্গাসাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, "প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জন্য জৈব পলিমার ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। এটি দেখতে প্লাস্টিকের মত, তবে এটি আসলে কর্ন স্টার্চ। এই পদার্থটি একশো শতাংশ দ্রবণীয়। তিন মাস ব্যবহার না হলে এই পদার্থটি নিজেই মাটির সঙ্গে মিশে যাবে।" বিশেষজ্ঞদের মতে কর্ন স্টার্চ প্লাস্টিকের উপযুক্ত বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। ২০০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী এই জৈব ব্যাগ তীর্থযাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করছেন। পাশাপাশি দোকানদারদের কাপড় ও কাগজের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'শী কর্নার'-এ গেলেই মুশকিল আসান, গঙ্গাসাগরে মায়েদের জন্য অভিনব ব্যবস্থা
মেলায় কারোর কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখা গেলেই তা নিয়ে জৈব কর্ন স্টার্চের ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় কুড়ি হাজার এমন ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলায়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মেলা শেষের পর পড়ে থাকা কাচের বোতল, পুরনো কাপড় ও অন্যান্য জিনিস সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিসগুলো অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। যেমন ব্যবহৃত কাচের বোতলগুলি রঙিন করে সুন্দর ফুলদানি তৈরি করা হবে। পুরনো পোশাক থেকে মাদুর ও ব্যাগ তৈরি করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
সুমন সাহা