সেই লক্ষ্যে রায়দিঘী কলেজের খাদ্য এবং পুষ্টিবিদ্যা বিভাগ এগিয়ে এসেছে। এই কাজে সহযোগিতা করছে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল। জাতীয় পুষ্টি মাস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে উঠে এসেছে বয়:সন্ধীকালীন কিশোরীদের নানান সমস্যার কথা এবং তার প্রতিকারের উপায়। মূলত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে এখনও কিশোরী এবং মহিলারা অপুষ্টির শিকার সেই সমস্যা কিভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে এই সেমিনারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাল্য বিবাহ ও শিশুপাচার রোধে করঞ্জলীতে সেমিনার
সেমিনারের সঙ্গে বয়:সন্ধীকালীন কিশোরীদের নিউট্রিশানাল স্টাটাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সেমিনার নিয়ে রায়দিঘী কলেজের খাদ্য এবং পুষ্টি বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপিকা রুকসানা ইরানি জানান এটি মূলত জাতীয় পুষ্টি মাস পালনের অনুষ্ঠান। এ বছর এই পুষ্টি মাস পালনের মূল বিষয় মহিলাদের স্বাস্থ্য। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মহিলাদের মধ্যে অপুষ্টির হার অত্যন্ত বেশি। সেজন্য নারীশিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। নারীশিক্ষার প্রসার ঘটালে অপুষ্টির হার অনেকটাই কমানো যাবে এর সঙ্গে আ্যনিমিয়ার মত রোগও কমবে।
আরও পড়ুনঃ কাকদ্বীপে চলছে পাইপলাইনের কাজ, অসুবিধার সম্মুখীন স্থানীয়রা
এই অনুষ্ঠান নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি জানান করোনা পরিস্থিতিতে ২ বছর শিশুরা স্কুল চত্বরের বাইরে থেকেছে। তাদের পুষ্টি এতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় শিশুদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রভাব পড়েছে পুষ্টিতে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা আরও বেশি অপুষ্টির শিকার। সেজন্য বয়:সন্ধীকালীন কিশোরীদের নিয়ে এই কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। যাতে তারা তাদের পুষ্টি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পায় এবং সহপাঠী সহ অন্যান্য মহিলাদের সচেতন করতে পারে।
Nawab Mallick





