লাটাগুড়িরই আরেক বাসিন্দা নকুল দেবের লিভার প্রতিস্থাপন হয় ২২ ডিসেম্বর ২০২২ সালের । এই অসাধ্য সাধন করেন চিকিৎসক বরুণ নাথ, সুপর্ণা পাল, কল্যাণ বোস, অশোকানন্দ কোঙার, শৌভিক মিত্র, দীপঙ্কর মণ্ডল, অরিজিত সামন্ত, তাপস ঘোষ, অনুসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি টিম ।
এই বিষয়ে IILDS-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায় জানান, " এটি একটি জটিল অস্ত্রোপচার। লিভার প্রতিস্থাপন করার আগে অনেকগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। প্রথমত যিনি ডোনার তাঁর বয়স হতে হয় ২০ থেকে ৫৫’র মধ্যে। সেই সঙ্গে দেখতে হয় যে তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, আর থাকলেও তাতে যদি তিনি লিভার দান করেন, তাহলে লিভার প্রাপকের কোনও শারীরিক ক্ষতি হবে কিনা। দ্বিতীয়ত, একই রক্তের গ্রুপ হওয়া প্রয়োজন।"
advertisement
আরও পড়ুন : উপকরণ মাত্র ১ টা বা ২ টো সব্জি, তাহলে কুমড়োর ছক্কার নামে ছয় এল কোথা থেকে, জানুন
তিনি আরও বলেন, " আজকাল অনেক জায়গায় আলাদা রক্তের গ্রুপেও লিভার প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে, কিন্তু একই রক্তের গ্রুপ হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। IILDS-এর ডাক্তারদের মতে, এই বিষয়ে আরও সচেতনতার প্রয়োজন। মানুষ সচেতন হলে আরও বেশি করে ডোনার পাওয়া যাবে বলে জানান তাঁরা। এর ফলে অনেকের জীবন সুস্থ হয়ে উঠবে।"
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কম খরচে এখানে সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপন হচ্ছে। ডোনার সুস্মিতা দেব জানান, " লিভার প্রতিস্থাপনে হাসপাতাল অনেক সাহায্য করেছে। দান করার পরে আমার কোনও অসুবিধে হয়নি। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। স্বামীর জন্য এটুকু করতে পেরে ভীষণ ভাল লাগছে।"
আরও পড়ুন : বিয়ের ৪ বছর পর প্রথম সন্তান আসছে এই সমকামী দম্পতির সংসারে
লিভার প্রাপক সুজয় দেব জানান, এই হাসপাতালে লিভার প্রতিস্থাপনের পর তিনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা এখনও পর্যন্ত বুঝতে পারেননি তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং তাঁর স্ত্রীর জন্য যে তিনি নতুন জীবন পেয়েছেন, একথা জানাতে ভোলেননি সুজয়বাবু। তার জন্য সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, লিভার প্রতিস্থাপন থেকে শুরু করে অন্যান্য জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য রাজ্যের মানুষ সাধারণত ভিনরাজ্য বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে যাওয়াই প্রথম পছন্দ বলে মনে করেন। এই জায়গাতেই সফল ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে IILDS রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ছাপ রাখতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন রাজ্যের চিকিৎসকমহল।