আরও পড়ুন: ডায়েরির চিঠিতে হাতের লেখা কার…? ৩ অভিযুক্তের ‘হ্যান্ডরাইটিং’ পরীক্ষার পথে লালবাজার
এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্মৃতিতে ডায়মন্ডহারবারে আছে চারুচন্দ্র ভান্ডারী সরণী। তাঁর প্রতিষ্ঠা করা স্বরাজ ভবন এখনও আছে ডায়মন্ডহারবারের নুনগোলায়। এক সময় তাঁর তৈরি খাদি মন্দির সুন্দরবনের গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতির ভিত্তি হয়ে উঠেছিল। সেখানে তৈরি হত চরকায় কাটা সুতোর বস্ত্র। এখানেই এসেছিলেন গান্ধিজী। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে চারুচন্দ্র ভান্ডারীর সেই খাদি মন্দির আজ আগাছায় ঢেকে গিয়েছে। ১৯৮৫ সালের ২৪ জুন প্রয়াত হন এই মহান দেশপ্রেমিক। তারপর থেকেই খাদি মন্দির তার আগের পরিচিতি অনেকটাই হারায়।
advertisement
জাতির জনকের স্নেহধন্য এই স্বাধীনতা সংগ্রামী যে বাড়িটিতে থাকতেন সেটিও বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যেকোনও সময় সেটি ভেঙে পড়তে পারে বলে প্রতিবেশীদের আশঙ্কা। কেবল স্বাধীনতা সংগ্রামী নয় চারুচন্দ্র ভান্ডারী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু তাঁর স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলির এমন বেহাল দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁর তৈরি খাদি মন্দিরের সংস্কারের আর্জি জানিয়েছে চারুচন্দ্র ভান্ডারী স্মৃতিরক্ষা কমিটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁর মৃত্যুর পর সংস্কারের অভাবে খাদি মন্দির পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার পথে। এ নিয়ে চারুচন্দ্র ভান্ডারী স্মৃতিরক্ষা কমিটির সহ-সম্পাদক সিদ্ধানন্দ পুরকাইত বলেন, চারুবাবু দেশের গৌরব। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত খাদি মন্দির আজ ধ্বংসের পথে। আমারা চেষ্টা করছি সেটাকে রক্ষণাবেক্ষণ করার। এ নিয়ে খাদি মন্দিরের কর্মী গুনধর মণ্ডল জানান, চারুবাবু ডায়মন্ডহারবারের গর্ব। তিনি স্বদেশী আন্দোলনের ভাবধারা এলাকায় প্রসার করেন। সেই ধারা আজও ডায়মন্ডহারবারে বহন করে নিয়ে চলেছে খাদি মন্দির। আগামী প্রজন্মের মধ্যে জাতীয়তা বোধ ছড়িয়ে দিতেই এর সংস্কার প্রয়োজন।
নবাব মল্লিক