কার্যত বছরের প্রথম দিন শ্রীহীন হয়ে গিয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলি। ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রচণ্ড গরমের কারণে যেন সুন্দরবন থেকে সমুদ্র সৈকত মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। গরমের কারণে পর্যটক আসছে না। শীতকালে যে বকখালি সমুদ্র সৈকতে থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড়ে ও পর্যটকদের কোলাহলে গমগম করত, সেসব ফিকে হয়ে গিয়েছে।
advertisement
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘ইংরেজি নববর্ষে পর্যটকদের ভিড় থাকলেও বাংলা নববর্ষে সেই ভিড় আর চোখে পড়ে না। দিনের পর দিন বেড়েছে গ্রীষ্মের দাবদাহ। সেই কারণে অধিকাংশ পর্যটক সুন্দরবন বা সমুদ্রমুখী হচ্ছে না। এছাড়াও ইয়াস, আমফান থেকে শুরু করে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঝাউবন থেকে শুরু করে অধিকাংশ জিনিসই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ৪৩ ডিগ্রির দাবদাহে নতুন বছরে আচমকা বড় বদল আবহাওয়ায়! কবে বৃষ্টি? রইল জেলার ওয়েদার আপডেট
অনাথ বন্ধু দোলুই নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘শীতের মরশুমে পিকনিকের আমেজে মেতে ওঠে এই অঞ্চল। প্রচণ্ড গরম পড়াতে সুন্দরবনমুখী হচ্ছে না কেউ। সেই জন্য মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন শিল্প।’’
এক হোটেল ব্যবসায়ী মনোজ কুমার সাউ বলেন, ‘‘ইংরেজি নববর্ষের বিভিন্ন হোটেলগুলিতে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত কিন্তু বাংলা নববর্ষে সেই চিত্র যেন বদলে গিয়েছে। বাংলা নববর্ষে দেখা মিলছে না পর্যটকদের।’’
জন মানব শূন্য জঙ্গল থেকে সৈকত। একটু শীতের আমেজের খোঁজে সবাই এখন পাহাড়মুখী। তাই কবে আবহাওয়া বদলাবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে দক্ষিণের সাগরতটের হোটেল মালিক থেকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
সুমন সাহা