এর আগেও বেশ কয়েকবার সুন্দরবনের মাটিতে কখনও আম্ফান, কখনও ফনী আবার কখনও বুলবুল বা ইয়াস আছড়ে পড়েছে।তাতে চাষবাস, গাছাপালার যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমন ক্ষতি হয়েছে ফলের।বিশেষ করে ঝড়ের দাপটে আম,কাঠাল, লিচু, লেবুর দফারফা হয়েছে বারবার।তাই নতুন করে যে ঘূর্ণীঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তার হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই মাঠ থেকে ধান, বাগান থেকে আম তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার চাষীরা।প্রতিটি ঝড়েই বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েন সুন্দরবনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা।
advertisement
বছর খানেক আগে মে মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় অশনি। তার বর্ষপূর্তি হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে মোকার পদধ্বনি। গত মাসে বেশ কয়েক দফায় কালবৈশাখী দেখা দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪পরগনা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা তে।দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রচুর পরিমাণে আমবাগান আছে। যেগুলি থেকে ফি বছর প্রচুর রসালো সুস্বাদু ফল পাওয়া যায়। এবছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এখন গাছ ভর্তি ডাঁশা আম। কয়েকবার বৃষ্টি পেয়ে আম বেশ রসালো ও সুস্বাদু হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় হলে আম বাঁচানো যাবে না। বোঁটা ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যাবে। তাই এখন থেকেই সাধারণ চাষী ও ব্যবসায়ীরা আম পেড়ে নিচ্ছেন গাছ থেকে। ইতিমধ্যেই হিমসাগর, ল্যাংড়া, কিষানভোগ আম পাড়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas News: বনবিবির মন্দিরে মানত পূরণ! বেঁচে ফিরলেই জঙ্গলে মোরগ ছাড়েন মধু সংগ্রহকারীরা
এ প্রসঙ্গে এক আম ব্যবসায়ী বলেন, ‘সবে কারবাইডের মাধ্যমে আম পাকানো শুরু হয়েছে। পাইকারি কুড়ি থেকে তিরিশ টাকা কিলো আমের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এখন ঝড় এলে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই আগে থেকে আম পেড়ে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। যতটা খরচের পয়সা ঘরে তোলা যায়।
সুমন সাহা