কুলতলিত দেউলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মিনতি হালদার।তিন সন্তানদের নিয়ে সংসার। সংসারের এক মাত্র আয়ের উপায় সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরে বাজারে বিক্রি,বা অন্যের বাড়িতে কাজ।কোন রকমে চলছিল জীবন।দেউলবাড়ির গ্রামে স্বামী স্বপন হালদারে সংসার। তার মধ্যেই হঠাৎ বাড়িতে খবর আসে বাঘে নিয়ে গিয়েছে স্বামীকে স্বপন হালদারের। বুকফাটা কান্নার মাঝে তিন সন্তানে বুকে জড়িয়ে নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু দেবির। সদ্য কয়েকমাস স্বামী মারা যাবার পরেই লোকের জমিতে,বাড়িতে কাজ করে কোনও ক্রমে দু’বেলা সন্তানদের মুখে ভাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না৷ প্রতিদিন কাজ কোথায়, সন্তানের মুখের দিয়ে তাকিয়ে বাঘের ধারালো দাঁত নখের আঁচড়ের ভয় না করেই শুরু হল মিন, কাঁকড়া, মাছ ধরার কাজ,জিবনের ঝুকি নিয়েও মা খুশি সন্তানরা, দুবেলা খেতে পাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন North 24 Parganas News: বিদেশে চাকরির নাম করে হত অপহরণ, চাওয়া হত মোটা অঙ্কের টাকা
তিনি জানিয়েছেন, এখন আর ভয় করে না গভীর জঙ্গলে যেতে।স্বামীকে হারিয়ে কাজের জন্য হন্যি হয়ে ঘুরেছেন কাজের খোঁজে। মিনতিদেবী বলছেন, এলাকায় অন্য কোন কাজ যে নেই । তাই যেতে হয় জঙ্গলে।সরকার থকে বাড়ি দিয়েছে, পাচ্ছি রেশনের চাল৷ এটাতে অনেকটাই সুবিধা৷ তবে পুজোর আগে তার মনে আক্ষেপ, পুজাতে সবাই নতুন জামা পড়ে, খাবার খায়, আমি আমার সন্তানদের কোনও দিন নতুন জামা কিনে বা খাবার কিনে দিতে পারি না।
সুমন সাহা