তবে জয়নগরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের দাবি, তিনটি পঞ্চায়েতই তৃণমূল কংগ্রেসের হবে। পাল্টা জয়নগর সাংগঠনিক বিজেপি জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, বিজেপির পঞ্চায়েতের জন্য ঝাঁপানো হচ্ছে। মায়াহাউরি পঞ্চায়েত বিজেপিরই হবে। শ্রীপুর পঞ্চায়েত অন্যান্য দলের সঙ্গে কথা চলছে। কিন্তু বহড়ু ক্ষেত্র পঞ্চায়েতে আমাদের সম্ভাবনা নেই। এই প্রসঙ্গে জয়নগরের সিপিএম নেতা অপূর্ব প্রামানিক বলেন, বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী সমস্ত শক্তিকে আমাদের সমর্থন করতে হয় তাই করব। এস ইউ সি আইয়ের প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ নস্কর বলেন, বহড়ু ক্ষেত্র ও মায়াহাউরি পঞ্চায়েতে কিছু করার নেই আমাদের। শ্রীপুর পঞ্চায়েতে একটিতে আমাদের প্রার্থী জিতেছে। অন্যটিতে আমাদের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী জিতেছে। কিন্তু আমাদের প্রার্থী কোনও দলকে সমর্থন করবে না।
advertisement
জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের বহুড়ু ক্ষেত্র পঞ্চায়েত ও শ্রীপুর পঞ্চায়েতের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়েছে। জয়নগর ২ ব্লকের মায়াহাউরি পঞ্চায়েতও ত্রিশঙ্কু হয়েছে। বহড়ু ক্ষেত্র পঞ্চায়েতে মোট ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৭টি আসন পেয়েছে, অন্যদিকে নির্দল পেয়েছে ৭টি আসন। দুটি বিজেপি পেয়েছে। সেইক্ষেত্রে নির্দল-বিজেপি অথবা তৃণমূল-বিজেপি বোর্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুবা হতে পারে প্রার্থীদের মধ্যে দল বদলের খেলা। এক নির্দল প্রার্থী বলেন, উপপ্রধান পদের ক্ষেত্রে তপশিলী সংরক্ষন মহিলা আসন আছে। কিন্তু আমাদের বিজিত প্রার্থীদের মধ্যে তা নেই। আবার শ্রীপুর পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৮টি, বিজেপি ৮টি, নির্দল ১টি, কংগ্রেস ১টি, অন্যান্য ১ টি আসন পেয়েছে।
এই ক্ষেত্রে তৃণমূল-কংগ্রেস বোর্ড যেমন হতে পারে, তেমনই বিজেপি-নির্দল অথবা বিজেপি-কংগ্রেস বোর্ডেরও সম্ভাবনা আছে। নির্দল ও কংগ্রেস প্রার্থী কোনও দিকের প্রার্থীদের সমর্থন দেয় তার উপরেও নির্ভর করছে। অন্যদিকে, মায়াহাউরি পঞ্চায়েত গতবার বিজেপির দখলেই ছিল। মোট ১৮টি আসনের মধ্যে ৮টি বিজেপি, ৮টি তৃণমূল, ২ টি নির্দল পেয়েছে। এক বিজেপি নেতা বলেন, দু’জনেই বিজেপির নির্দল। সমস্যা হবে না। এই জায়গায় নির্দলকেই নিয়েই জোর টানাপড়েন বিজেপি ও তৃণমূলের।
সুমন সাহা