পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার পরিচিত দৃশ্য এগুলো। প্রতিমুহূর্তে লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি মালগাড়ি চলাচল করে এই এলাকা দিয়ে। কিন্তু অল্পবয়সী ছেলেদের একটা অংশের যেন কোনও কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ নেই।
আরও পড়ুন: নদী বাঁচাতে যোগাসন শিবির, হলদিয়ায় ঘটল আরও অনেক কিছু
বারুইপুর, সুভাষগ্রাম, চম্পাহাটি, বিদ্যাধরপুর, বেতবেড়িয়া, পিয়ালি, দক্ষিণ বারাসত, মথুরাপুর, সংগ্রামপুর, মগরাহাট, দেউলা, গোচরণ, আকড়া, সন্তোষপুরের মতো স্টেশনগুলিতে গেলেই দেখা যাবে প্ল্যাটফর্ম থেকে একটু দূরে লাইনজুড়ে বসে আছে অল্প বয়সী ছেলেরা। কেউ আড্ডা দিচ্ছে, কেউ আবার মোবাইলে মশগুল। প্রতিদিন বিকেলের এটা পরিচিত ছবি। অনেক মহিলাকেও দেখা যায় রেল লাইনের উপর বসে গল্পের আসর ফাঁদতে। এদিকে সোনারপুর, সুভাষগ্রামের মতো স্টেশনগুলিতে সন্ধ্যের পর রেল লাইনে দেহ ব্যবসায়ী মহিলাদের আনাগোনা বাড়ে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
advertisement
সোনারপুরের প্রবীণ বাসিন্দা কৌশিক ধর বলেন, জিআরপি বা আরপিএফ কারোর এই বিষয়ে হেল্দল নেই। লাইনে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা মারলেও ওরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়। কোনও বড় দুর্ঘটনা হলে তবেই রেল পুলিশের টনক নড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা কাজল হালদার বলেন, দেহ ব্যবসায়ী মহিলাদের সঙ্গেও পুলিসের একাংশের সেটিং আছে। তাই লাইনে বসতে দেয়।
এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, মানুষকে সচেতন হতে হবে এই ব্যাপারে। পুলিসের নজরদারির বিষয়টি দেখব।
সুমন সাহা