মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ রাজ্যপাল পৌঁছন সুভদ্রা গায়েনের বাড়িতে। বৃদ্ধা সুভদ্রা গায়েনের তিন ছেলে হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে দক্ষিণ ভারতে কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যপালকে জড়িয়ে একসঙ্গে তিন সন্তান হারানোর শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুভদ্রা গায়েন। রাজ্যপাল মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন। এই গায়েন বাড়িতে এসেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন অন্য দুই মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ আমলের ঘাট সংস্কারে হেরিটেজ নষ্টের অভিযোগ
বিকাশ হালদার ও সঞ্জয় হালদার’ও বালেশ্বরের এই ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও এদিন কথা বলেন সি ভি আনন্দ বোস। বাসন্তীতে দাঁড়িয়েই রাজ্যপাল ঘোষণা করেন, বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় রাজ্যের যে বাসিন্দারা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে আপাতত ৬ মাস ২০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেবে রাজভবন। তাছাড়াও এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি মৃতদের পারলৌকিক কাজের যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজভবন।
মঙ্গলবার বাসন্তীতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের পাঁচ মৃত যাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় রাজ্যপাল ফল, নতুন পোশাক সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। সেগুলো শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরই পাশাপাশি যাদের জনধন যোজনা অ্যাকাউন্ট আছে তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। স্থানীয়রা রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে বেশ কিছু অভাব অভিযোগের কথাও জানান। বিশেষ করে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা, নদী বাঁধের ভগ্ন দশার কথা তুলে ধরেন এলাকার মানুষ। সবটাই মন দিয়ে শোনেন রাজ্যপাল। পরে বিডিওকে ডেকে রাজ্যপাল দ্রুত সব সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। এরপর রাজ্যপাল আবার রাজভবনে ফিরে আসেন।
সুমন সাহা