জমি-জায়গা নিয়ে অনেক রকম কেলেঙ্কারির কথা শোনা যায়। তা বলে আস্ত সরকারি স্কুল বিক্রি এ বোধহয় নজিরবিহীন ঘটনা! তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় সেই অবাক করা ঘটনাই এই ঘটল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৬৪ সালে এই প্রাথমিক স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রশেখর মণ্ডল ও দীনেশ মণ্ডল স্কুলের জন্য ৪২ শতক জায়গা দান করেন। এক সময় এলাকার শিশুদের মূল পঠন-পাঠনের ভরসা ছিল এই প্রাথমিক স্কুলটি। বর্তমানে সেখানে ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ২ জন শিক্ষক আছেন। ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। এই স্কুলটির জমি যারা দান করেছিলেন সেই চন্দ্রশেখর মণ্ডল ও দীনেশ মণ্ডলের উত্তরসুরীরা হঠাৎই স্কুলসহ গোটা জমি এক আইনজীবীকে বিক্রি করে দেন। এরপরই সমস্যা তৈরি হয়। জমি খালি করে দেওয়ার জন্য স্কুলের শিক্ষকদের বারবার নোটিশ পাঠাতে থাকেন ওই আইনজীবী। প্রথমে আইনে নোটিশ পেয়ে রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছিলেন এই প্রাথমিক স্কুলের দুই শিক্ষক। সরকারি স্কুল যে বিক্রি হয়ে যেতে পারে সেটাই কল্পনা করতে পারেননি তাঁরা। তবে পরবর্তীতে বিষয়টি আইনি পথে মোকাবিলা করতে পাল্টা আদালতের দ্বারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: আইপিএলের উত্তাপ নিতে কৃষ্ণনগরের ফ্যান পার্ক, KKR-র সমর্থনে চেঁচাবে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহর
গোটা ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ পাথরপ্রতিমার দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা গোটা ঘটনায় স্কুলের জমিদাতা দ্বয়ের উত্তরসূরী ও আইনজীবীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। জমি নিয়ে এই ঝামেলা চলায় স্কুলের পঠন-পাঠন ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দুই শিক্ষক। এদিকে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই জমিতেই আগের মত চলবে স্কুল।
নবাব মল্লিক