আর মাঝে দুটো দিন, শনিবার পয়লা বৈশাখ। তার আগে প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে গাজন শিল্পীদের। আজও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানের কিছু গ্রামে গাজনের গান শোনা যায়। সবকিছু বদলে যাওয়ার যুগেও এখানকার মানুষগুলো সেই পুরনো ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধরে রাখার চেষ্টা করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক ও নার্সের গাফিলতিতে সরকারি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
advertisement
বাংলার লোকসংস্কৃতির মধ্যে গাজনের গান অন্যতম। তবে আধুনিকতার যুগে এই প্রাচীন সংস্কৃতি অবলুপ্তের পথে। মূলত দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশ্যে গাজনের গান গাওয়া হয়। এই গানের সঙ্গে গাজন সন্ন্যাসীরা জমিয়ে নিজেদের মতো করে নাচেন। শিব-পার্বতীর নানান ঘটনা গাজন গানের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়।
চৈত্র মাসে হয় বলে গ্রাম বাংলার মানুষ একে চৈতি গাজনও বলে। চৈত্রের শুরু থেকেই চলে প্রস্তুতি। নানান সাজে গাজন গান পরিবেশন করেন গাজন সন্ন্যাসী শিল্পীরা। আজও জয়নগরের বিভিন্ন গ্রামে চৈত্র সংক্রান্তি এবং পয়লা বৈশাখে গাজন গানের আসর বসে। জয়নগরের শাহজাদাপুরে টানা তিন দিন ধরে চলবে এই গাজন গান। পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষরাই মূলত গাজন সন্ন্যাসী হন এবং গাজনের গান করেন।
সুমন সাহা