TRENDING:

South 24 Parganas News: কিছুটা বেশি রোজগারের আশায় বাঘের মুখে পড়তেও পিছপা হচ্ছেন না সুন্দরবনের মৎসজীবীরা

Last Updated:

বিপদ, বাধা অতিক্রম করে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করছেন মৎস্যজীবীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#সুন্দরবন: বিগত প্রায় দু’বছর ধরে সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। বন দফতরের হিসেব অনুযায়ী সংখ্যাটা গত দুবছরে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। বারে বারে মৎস্যজীবীদেরকে এ বিষয়ে সচেতন করা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করছেন তাঁরা। আর সেখানে গিয়েই বাঘের হামলার শিকার হচ্ছেন।জঙ্গলে মৎস্যজীবীদের প্রবেশ আটকাতে ইতিমধ্যেই কোর এলাকা, যেখানে বাঘেদের ডেরা সেই এলাকা সংলগ্ন খাঁড়ি গুলিতে নাইলনের জাল দিয়ে প্রবেশের পথ বন্ধ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও সেখানে বিপদ সংকেতও ঝুলিয়ে দিচ্ছেন বনকর্মীরা। কিন্তু সেই বিপদ, সেই বাধা অতিক্রম করে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করছেন মৎস্যজীবীরা।
বনদফতরের চেকিং
বনদফতরের চেকিং
advertisement

আরও পড়ুন আলতা পায়ে লুকিয়ে রয়েছে চরম যৌবনের হাতছানি! শুধু বেছে নিতে হবে সঠিক ডিজাইন...

মূলত কাঁকড়ার লোভেই খাঁড়ি পথ ধরে জঙ্গলের গভীরে ঢুকে পড়ছেন তাঁরা। এরপর নৌকা থেকে নেমে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে কাঁকড়া সংগ্রহ করছেন। নিজেরা যখন কাঁকড়া সংগ্রহে ব্যস্ত থাকছেন মৎস্যজীবীরা, ঠিক সেই সময়ই সুযোগ বুঝে তাঁদের উপর হামলা করছে দক্ষিণ রায়। বারে বারে এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও সচেতন হচ্ছেন না মৎস্যজীবীরা। বন দফতর সূত্রের খবর, কাঁকড়ার বাজার মূল্য অনেক হওয়ার কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন দফতরের বাধা অতিক্রম করে গভীর জঙ্গলে বাঘেদের ডেরায় প্রবেশ করছেন মৎস্যজীবীরা। সম্প্রতি বন দফতরের কর্মীরা জঙ্গলে টহলদারির সময় লক্ষ্য করেন সুন্দরবনের আজমলমারি ১২, পিরখালি ৩ সহ একাধিক জঙ্গলে এই নাইলন নেট সরিয়ে মৎস্যজীবীরা জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করেছেন। বারে বারে এই ঘটনায় যথেষ্ট চিন্তিত বন আধিকারিকরা।

advertisement

এ বিষয়ে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে, আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করেও প্রবণতা কমানো যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “ বন দফতরের তরফে নিয়মিত এলাকায় টহলদারি করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মৎস্যজীবীই দিনের আলো ভাল করে ফোঁটার আগেই এই নাইলনের জাল কেটে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ছেন। এতে বিপদেও পড়ছেন অনেকেই। অনেক সময় এঁদেরকে ধরে ফাইন করা থেকে শুরু করে সতর্ক করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগই শোনেন না কথা।” বনকর্মীরা নিয়মিত টহলদারির সময় নাইলন বেড়া পরীক্ষা করেন ও ছেঁড়া স্থান সারাই করেন। ২৪ পরগনা বন বিভাগের ডিএফও মিলন কান্তি মণ্ডল বলেন, “ কিছু মৎস্যজীবী ক্রমাগত একাজ করছেন।

advertisement

View More

আরও পড়ুন Durga Puja 2022: পাঁচশো বছরেরও বেশি পুরনো বৈকুন্ঠপুরের জয়দুর্গার পুজো, এখনও রাজা কীর্তিচাঁদের নামে সঙ্কল্প করে পুজো হয়

আমি নিজে জঙ্গলে ফিল্ড ভিজিটে গিয়ে এটা চাক্ষুষ করেছি। নাইলনের জাল কেটে জঙ্গলের মধ্যে বাঘেদের ডেরায় এঁরা ঢুকে পড়ছেন। এঁদের নিজেদের ভালও এঁরা নিজেরা বোঝেন না? আর দুর্ঘটনা ঘটলে বন দফতরকে দোষ দেবেন!”যদিও মৎস্যজীবীদের দাবি, নদীর তুলনায় খাঁড়িতেই কাঁকড়া, মাছ বেশি পাওয়া যায়। সেই রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছে বন দফতর। মাছ, কাঁকড়া না ধরলে তাঁদের সংসার চলবে না। তাই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন দফতরের নিষেধ অমান্য করেই জঙ্গলের ভিতর ঢুকতে হয়। কুমিরমারির বাসিন্দা অজয় সর্দার, নিখিল গায়েনরা বলেন, “ জানি জঙ্গলে বাঘ আছে, বিপদ ঘটতে পারে। কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে না গেলে কাঁকড়া পাবো কোথায়? কাঁকড়া ধরতে পারলে তবেই তো সংসার চলবে, ছেলে মেয়ের মুখে ভাত তুলে দিতে পারবো।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নবাবের শহর থেকে রাজধানীর পথে মুর্শিদাবাদের রুদ্রাক্ষী, স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে জীবনযুদ্ধে জয়
আরও দেখুন

সুমন সাহা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪ পরগনা/
South 24 Parganas News: কিছুটা বেশি রোজগারের আশায় বাঘের মুখে পড়তেও পিছপা হচ্ছেন না সুন্দরবনের মৎসজীবীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল