নিমপীঠে ভেষজ সার ও কীটনাশক প্রয়োগের এই বিষয়টি পুরোপুরি পরিচালিত হচ্ছে নিমপীঠ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের দ্বারা। এই কর্মশালায় কৃষকদের সব থেকে বেশি দুশ্চিন্তা যা নিয়ে থাকে সেই পোকামাকড় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ভেষজ কীটনাশক ব্যবহার করে কী করে চাষের জমির পোকামাকড় নির্মূল করা সম্ভব হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। গাছ গাছড়া থেকে কীভাবে ভেষজ কীটনাশক তৈরি করে তা ফসলের উপর প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে তা নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট সাফল্য জয়নগর থানার! চুরির দেড়মাসের মধ্যেই চোরাই মাল সহ ধরা পড়ল চোর
এই কর্মশালা আয়োজন করে ইন্সটিউট অফ পেস্টিসাইড ফর্মুলা টেকনোলজি ও ইন্সটিউট অফ কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং নিমপীঠ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে। এই তিন সংস্থা যৌথ উদ্যোগে কর্মশালাটি আয়োজন করে। কুলতলি, গোসবা, নামখানা, রায়দিঘির বিভিন্ন ব্লকের প্রায় দুশোজন কৃষক এই কর্মশালায় যোগ দেন। তাঁরা আগে ধান চাষ করতেন। বর্তমানে ফল পাওয়ায় এই ভেষজ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে বিভিন্ন রকমের সবজি, তুলো, তৈল বীজ, সূর্যমুখী চাষও শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, জমিতে চাষ করা ফসলের ধরন বদলালেই পোকামাকড়ের আক্রমণ বাড়ছে। তা ঠেকাতে এর আগে কৃষকরা বিপুল মাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করছিলেন। তাতে সাময়িক ফল হলেও কিছুদিন পরই জমির উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাছাড়া ফসল বিষাক্ত হয়ে পড়ছিল। কিন্তু ভেষজ কীটনাশক ব্যবহার করলে তাদের যেমন চটজলদি ফল দেয়, তেমনই জমির উর্বরতাও বজায় রাখে। সেই সঙ্গে ফসলের কোনও ক্ষতি করে না। আর তা জানতে পেরেই এগিয়ে আসছেন একের পর এক কৃষক।
সুমন সাহা