কার্যত বৃষ্টির জন্য আকাশের দিকে চাতক পাখির মত তাকিয়ে রয়েছে কৃষকরা। কবে আসবে বৃষ্টি নামবে বর্ষা সেদিকেই কিন্তু গভীর ভাবনাই কৃষকরা। আর এ বিষয়ে একটি কৃষক তিনি বলেন আমরা সাধারণত জানি এই সময়ে বর্ষার আগমন হয়ে যায়। আর জমিতে চাষের জন্য জলেরও কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু এবছর আবহাওয়ার এতটাই পরিবর্তন হয়েছে যে একটু হলেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। আর যার জন্যেই বোরো ধান চাষ করতে আমাদের অনেকটাই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কবে আসবে সেদিকেই কিন্তু আমরা তাকিয়ে রয়েছি তবেই আবহাওয়ার খাম খেয়ালি পণার জন্য চাষ অনেকটা হলেও পিছিয়ে গেল।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ পঞ্জিকা মতে এ বছর জালে বেশি ইলিশ পড়বে, আশায় অভিনব কাণ্ড ঘটালেন মৎস্যজীবীরা!
তবে এ বিষয়ে নিমপীঠ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী চন্দন মন্ডল বলেন আমরা সাধারণত জানি বর্ষা আসা উচিত ৮ জুনের মধ্যে। তবে এ বছর বর্ষা আসতে আসতে জুন মাসের শেষ হয়ে যাবে। আর এরকম পরিস্থিতিতে যেটা আমাদের প্রধান চাষ ধান অর্থাৎ বর্ষাকালীন ধান চাষ বেশ সমস্যার মুখে পড়বে। আর এই দেরি হওয়ার কারণে কি করনীয় আমাদের?
মূলত যে বীজগুলি শোধন করে নিয়ে ব্যবহার করবেন, সেখানে অতিরিক্ত জৈব সার ব্যবহার করুন। সেই সারটি গোবর পচা সার হতে পারে কিংবা ভার্মি কম্পোস হতে পারে। এভাবে জৈব সার দিয়ে চারা তৈরি করলে চারার গোড়া অনেকটাই শক্ত হবে এবং চাষের জন্য অনেকটাই উপকৃত হবে।
পরবর্তীকালে বর্ষা দেরি করে আসলে এই জৈব সার বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে উপকৃত হবেন। পাশাপাশি তিনি কৃষকদের আরো বললেন অন্যান্য সময় এই ধানের উপর কীটপতঙ্গের হামলা হয় কি কি ব্যবহার করলে এই হামলা থেকে বাঁচা যাবে জানালেন তিনি।
সুমন সাহা