নারকেলের ছোবড়া, বাদামের খোসা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব থালা, গ্লাস সহ নানান প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আর এসব গঙ্গাসাগর এলাকার সমস্ত ছোট বড় ব্যবসায়ীদেরকে ফ্রী তে প্রদান করছে ২০১৩ সালে গড়ে ওঠা জিবিডিএ (গঙ্গাসাগর- বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)। রাজ্য সরকারের গড়া GBDA এর মূল কাজ গঙ্গাসাগর ও বকখালি সমুদ্র এলাকার সবুজায়নের সাথে সাথে বিশ্ব উষ্ণায়ণের হাত থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় গঙ্গাসাগর কে তারই পরিকল্পনা করা। তাই পরিবেশবান্ধব উপকরণ তৈরী করে প্লাস্টিকমুক্ত গঙ্গাসাগর মেলা সম্পন্ন করতে বদ্ধ পরিকর জেলা প্রশাসন।
advertisement
কোভিডের সাথে লড়াই তার সাথে গঙ্গাসাগর মেলাকে পরিবেশবান্ধব মেলা হিসেবে তুলে ধরা এবছর জেলা প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। সেজন্য মেলা চত্বরে চলছে অভিনব কায়দায় প্রচার। এই প্রথম গঙ্গাসাগর পর্ব নামে শুরু হল একাধিক প্রকল্প প্রচারের সিরিজ, যা ই-দর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অভিনব উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় চলছে প্রচার অভিযান। মেলা অফিস প্রাঙ্গনে তৈরী করা হয়েছে জাহাজ রাজ প্রাসাদ। সেখানে রোজ বসছে রাজা হবুচন্দ্রের রাজসভা।
তবে সেই রাজসভায় আসছেন না কোন প্রজা, আসছেন মেলার দায়িত্বে থাকা সাফাইকর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী সহ গঙ্গাসাগর মেলার সাথে যুক্ত সকল শ্রেণীর কর্মীরা। মহারাজের রাজসভাতে প্রশ্ন করছেন মহারাজ হবুচন্দ্র। কীভাবে হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা? সত্যি কি মেলাকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গণ্য করা যায়? আরো নানান প্রশ্ন। আর এসব কিছুর উত্তর অনায়াসে নাটকীয় ভঙ্গিমাতে দিচ্ছেন রাজসভাতে আসা কর্মীরা। তারই ই সম্প্রচার করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গঙ্গাসাগর মেলার সেকাল আর একাল নৌকা থেকে ভেসেল, ক্যাসেট ক্যামেরা থেকে এখন ড্রোন সবই আজও এই মেলাতে যেন বিদ্যমান। পৌরাণিকতা ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে ২০২২ এর গঙ্গাসাগর মেলা যেন নজর কাড়ছে সকলের।