বারুইপুরের সূর্যপুর এলাকায় চাষের জমিতে জলসেচ নিয়ে এই বিভ্রাট ঘটে। সেখানে খালের জল বাঁধ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় আটকে রাখায় বাকি পঞ্চায়েতগুলির কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন: সেলিব্রেটি সন্তু 'বদ মায়না'র সঙ্গে ভারত ছাড়ছে, মন খারাপ ফ্যানেদের
কৃষিকাজ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোয় ছুটে আসেন এসডিপিও অসিত বিশ্বাস ও বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়। এলাকার মানুষ পুলিশ কর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন। পূর্ত দফতরের লোকজনও ঘটনাস্থলে আসেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সুধাংশু নস্কর বলেন, "এমনিতেই ডায়মণ্ডহারবার থেকেই খালে জল আষাঢ় পরিমান অনেকটা কমে গেছে। বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের শঙ্করপুর ১, শঙ্করপুর ২, শিখরবালি ১, শিখরবালি ২ পঞ্চায়েত এলাকার উপর দিয়ে এই জল যাচ্ছে নবগ্রাম, বেলেগাছি, বৃন্দাখালি, রামনগর ১, রামনগর ২, ধোসা চন্দনেশ্বর, খাকুড়দহ পঞ্চায়েত এলাকায়। এখন জলের পরিমান কম হওয়ায় চাষের জমিতে জল আসছে না। কিন্তু আচমকা সূর্যপুরে খালের পাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে জল আরও আটকে যাওয়ায় ৯ টি পঞ্চায়েতের চাষিরা ক্ষতির মুখোমুখি হন।" সুধাংশুবাবুর অভিযোগ, বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রের কয়েকটি পঞ্চায়েত ভাবছে তাঁরা জল পাবে না। তাই পরিকল্পনা করেই আটকে দেওয়া হয়েছে সেচের জল। কিন্তু এতে পশ্চিম কেন্দ্রের ধপধপি ১, ধপধপি ২ পঞ্চায়েতের চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। অন্যদিকে বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রের শঙ্করপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু মণ্ডল বলেন, "খালে দীর্ঘদিন ড্রেজিং করা হয়নি। এবার জলের লেভেলও কম। ফলে শিখরবালি ১, শিখরবালি ২, শঙ্করপুর ১, শঙ্করপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকাতে চাষের জমিতে জল ঢোকেনি। এই কারনে একটা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল খালে যে গর্ত করা হবে তা ৫০ শতাংশ উঁচু করে দেওয়ার জন্য, যাতে সব পঞ্চায়েতেই জল যায়।
advertisement
সুমন সাহা