গোবর্ধনপুরের সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা ও ১০ কিলোমিটার চওড়া। ২০০০ সালের পর থেকে সমুদ্রের বুক থেকে রাশি রাশি বালি এসে জমা হতে থাকে এই পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি প্লটের এই বেলাভূমিতে। চারিদিকে রয়েছে ঝাউবন। একেবারে কোলাহলহীন পরিবেশবান্ধব সমুদ্রতটে একবার আপনি পৌঁছে গেলে আর ফিরে আসতে চাইবেন না। অপরূপ শোভা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজো রাজপ্রাসাদে কাটানোর ইচ্ছা! রাজা-রানি হতে পৌঁছে যান আজিমগঞ্জ বড়ি কোঠিতে
এই বিস্তীর্ণ বেলাভূমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব প্রিয়। এই বেলাভূমিতে যাওয়ার সময় আপনার চোখে পড়বে গরান, সুন্দরী, হেতালের জঙ্গল। ভাগ্য প্রসন্ন থাকলে নদীর চড়ে দেখা মিলবে কুমিরের। সমুদ্র সৈকতের বড়ো বড়ো ঢেউ। আর এই দ্বীপের নির্জনতা বেলাভূমিকে পরিণত করছে নৈস্বর্গিক ক্ষেত্রে। এই দ্বীপে পৌছাতে হল আপনাকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে কাকদ্বীপ স্টেশনে পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে বাসে পাথরপ্রতিমা। এরপর সেখান থেকে জলপথে জি প্লটের চাঁদমারি ঘাট। চাঁদমারি ঘাট থেকে সোজা গোবর্ধনপুর সি বিচ।
আরও পড়ুনঃ হাতছানি দিচ্ছে জঙ্গল ঘেরা পাহাড়-জঙ্গল-নদী, দুর্গাপুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন বেলপাহাড়ির গাডরাসিনি
ঠিকানা : গোবর্ধনপুর, জি প্লট, পিন-৭৪৩৩৭১
লোকেশন :
গোবর্ধনপুর সমুদ্র সৈকতে আসতে গেলে আপনাকে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে আসতে হবে। নদীপথে অনেকটাই সময় অতিবাহিত করতে হয় এই সমুদ্র সৈকতে পৌঁছতে। যাত্রাপথে সুন্দরবনের অপরূপ শোভা দেখতে পাবেন আপনি। এ ছাড়াও দেখতে পাবেন বেশ কয়েকটি ছোট নদীর সঙ্গমস্থল। বঙ্গোপসাগরের বড়ো ঢেউ। বিস্তীর্ণ ঝাউবন। আর এখানকার মানুষজনের জীবনযাত্রা। তবে এই সমুদ্র সৈকতে থাকার মত সুব্যবস্থা নেই। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আপনি সেখানে রাত্রিযাপন করতে পারেন। অথবা পাথরপ্রতিমাতে ফিরে এসে স্বল্পমূল্যে হোটেল বুকিং করতে পারেন। তাহলে আর দেরী কিসের? এ বারের পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন গোবর্ধনপুর সি বিচ।
নবাব মল্লিক