পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে ১২ বছর আগে সাগর থানার খানসাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাহেবা খাতুনের সঙ্গে নামখানা ব্লকের মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াড়ার বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন শাহের বিয়ে হয়। পারিবারিক বিবাদের জেরে সাহেবা নামখানার পাতিবুনিয়াতে থাকতে শুরু করে। তাদের ১২ বছরের এক মেয়ে ও সাড়ে ৪ বছরের এক ছেলে আছে। স্বামী নাসিরুদ্দিন আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে ভিন জেলায় চলে যায়। ঘরের কাজ করানোর পর মিস্ত্রির কাজের টাকা মেটানোর জন্য এদিন বিকালে ছেলে সেলিম শাহকে সঙ্গে সোনার গহনা বন্ধক দিতে কাকদ্বীপে আসে সাহেবা।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিপ্রেশন কাটায়, যৌবন ধরে রাখে! পাট শাক খান নিয়ম মেনে! উপকার জানলে অবাক হবেন
বেলুনীর এক বাসিন্দা জানান, এদিন রাত আনুমানিক পৌনে ১১ নাগাদ মোটর বাইক চালিয়ে বেলুনের দিকে যাওয়ার পথে শিমুলবেড়িয়া পাওয়ার হাউসের কাছে একটি বাচ্চা ছেলেকে কাঁদতে দেখি। এত রাতে বাচ্চা ছেলেকে কাঁদতে দেখে আমরা বাইক থামিয়ে বাচ্চাটাকে জিজ্ঞেস করি কেন সে কাঁদছে। বাচ্চা ছেলেটি জানায়, তার মাকে তাদের এক আত্মীয় গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে টানতে টানতে মেরে ফেলার জন্য মাঠের মাঝে নিয়ে গিয়েছে। খবর পাঠাই ঢোলাহাট থানায়।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের জন্য দু'টি স্পেশাল ট্রেন! হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে! জানুন সময়
আরও পড়ুন:
ঢোলাহাট থানার আইসির নির্দেশে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এরপর এই বাচ্চাটাকে সঙ্গে করে নিয়ে আমরা শিমুলবেড়িয়া পাওয়ার হাউসের পিছনে খালপাড়ের কাছে গিয়ে দেখে ওই মহিলার দেহ খালের জলে কাদার মধ্যে মুখ গোজা অবস্থায় পড়ে আছে। এদিন দুপুরে ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের কাকা শামসুল মল্লিক। তিনি জানান, গতকাল বিকেলে মিস্ত্রিদের পাওনা টাকা মিটানোর জন্য সোনার গহনা বন্ধক দিতে কাকদ্বীপে এসেছিল আমার ভাইঝি সাহেবা। ভোররাতে ঢোলাহাট থানা থেকে খবর পাই খালের জলে কাদায় মুখ গোজা অবস্থায় আমার ভাইঝির দেহ উদ্ধার হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার ভাইঝিকে কেউ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। এই ঘটনা সঙ্গে যুক্তদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিশ্বজিৎ হালদার