বারুইপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিশালক্ষীতলার বাসিন্দা জয়েসা । তিনি ও তাঁর মা জয়া দলুই বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন আত্মীয়র বাড়িতে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেনে চেপে হাওড়া ফিরছিলেন তাঁরা। জয়েসা বলেন, আমার জানালার কাঁচ প্রথমে ভাঙে। সহযাত্রীরাই সেই কাঁচ বের করে দেয়। তারপরেই পরপর কোচগুলির জানালার কাঁচ ভাঙে। আমার মা ছিল আরও ভিতরের দিকে কামরায়। আমি চিৎকার করছিলাম মায়েদের যেন কিছু না হয়। দুর্ঘটনায় আমাদের ট্রেনের পিছনের জেনারেল বগিগুলো বেশি এফেক্টেড হয়। দুই’তিনটে বগি পুরো আলাদা হয়ে গিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন:
লোকজন করমণ্ডল ট্রেনের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। প্রচুর অ্যাম্বুলেন্স এসে গিয়েছিল। কিন্তু আমাদের ট্রেনেও বগি বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে কেউ প্রথমে টেরই পায়নি। এদিকে, এসি পুরো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। জয়েসার শরীরে এখনও রয়েছে যন্ত্রণা। তিনি আরও বলেন, অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষার পর রাত ২টার পর ইঞ্জিনিয়ররা ট্রেন পরীক্ষার পর তা ছাড়ে। পরে ভোরে বালাসোর নিয়ে আসা হয় আমাদের ট্রেন। ওখানে এক ঘণ্টা ধরে পিছনের বগিগুলো কেটে বাদ দেওয়া হয়। আমরা এসি ২ কামরাতে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের কামরা পুরো ড্যামেজ হয়েছিল। এরপর ট্রেন আসে খড়গপুরে। সেখানে জি আর পি পুলিস আমাকে রেলের হাসপাতালে ভর্তি করেছিল।
সুমন সাহা





