এর পরই হাসপাতাল সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের সিদ্ধান্তে মহিলার সফল অস্ত্রোপচার করা হয় ওই হাসপাতালেই। হাসপাতালে নেই কোনও সিসিইউ ইউনিট। মহিলার অপারেশনের ক্ষেত্রে দরকার ছিল রক্তের। যা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে ছিল না বলেও জানা যায়।
এই পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপারেশন করে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বছর ৪৭- এর মহিলা মুনমুন দাস গত কয়েকদিন আগে শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন হাবরা হাসপাতালে। এর আগে তাঁর জরায়ুতে টিউমার হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করা হয় সেখানে।
advertisement
এর পর আবারও সেখানে নতুন করে ১৭টি টিউমার গজায়। সঙ্গে হার্নিয়া ও অ্যাপেন্ডিক্স-এর সমস্যাও তৈরি হয়। শরীরের সংক্রমণের মাত্রা ছড়াতেই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। এর পর সিটি স্ক্যান করা হয় তাঁর।
অপারেশনের আগে অ্যানাসথেটিস দেখিয়ে পরীক্ষাও করানো হয়। সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনা হয় রোগীর জন্য এ নেগেটিভ রক্ত। চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেন সুপার নিজেই।
দীর্ঘক্ষণ অপারেশনের পর মেলে সাফল্য। হাসপাতাল সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস জানান, আমাদের কাছে এটি সাফল্যের দিন। কারণ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এই ধরনের অস্ত্রোপচার হয় না। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ধরনের অস্ত্র প্রচার করতে দু'বার ভাবেন। মহিলা এখন সুস্থ রয়েছেন। কয়েকদিন পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
মোট ১৭টি টিউমারের ওজন প্রায় সাড়ে তিন কেজি বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের এই সাফল্যে খুশি ডাক্তার নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই। রোগীর পরিবারের লোকজনরাও ডাক্তারদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
রুদ্র নারায়ন রায়