ঘূর্ণিঝড় "জাওয়াদ" ও অমাবস্যার ভরা কটালে জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকায় সেই সময়ে সমুদ্রে নামা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ত। সেই কারণে বকখালির পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়নি। ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানা ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্রসৈকতে মাইকিং এর মাধ্যমে বকখালিতে ঘুরতে আসা উৎসুক পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছিল বারংবার। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বকখালিতে ঘুরতে আসা ওই পর্যটকদল, সমুদ্রসৈকতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের নজর এড়িয়ে সৈকতে স্নান করতে নামার চেষ্টা করেন। এরপরই, নিষেধাজ্ঞা না মেনে সমুদ্রে নামার চেষ্টা করায়, সিভিক ভলেন্টিয়ার পর্যটকের দলের বেশ কয়েকজন কে কান ধরে উঠবস করায়।
advertisement
বকখালি সমুদ্র সৈকতে সিভিক ভলেন্টিয়ারসের এহেন পর্যটক দলকে শাস্তি দেওয়ার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সিভিক ভলেন্টিয়ারের পর্যটকদের কান ধরে উঠবস করানোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সমাজের বিভিন্ন মহল। ইতিমধ্যেই এপিডিআর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আপাতত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কে ক্লোজ করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে আগেও বহু ক্ষেত্রে উঠেছে প্রশ্ন। কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে এই সিভিক ভলেন্টিয়ারসদের, তাও প্রশাসনের তরফ থেকে বারংবার তুলে ধরা হয়েছে। তবুও কেন এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দ্বারা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে! আইন ভাঙলে শাস্তি হতেই পারে। কিন্তু একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে এই সিভিক ভলেন্টিয়ার্সদের ভূমিকা আরো মানবিক হওয়া উচিত, বলেই মনে করছে সমাজের বিশিষ্ট মহল।