একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা ছিল। বিনামূল্যে নানান মুখরোচক খাবারের আয়োজনও ছিল। সঙ্গে চকলেট, আইসক্রিম সহ আরও কত কী। সুন্দরবন এমনিতেই রাজ্যের প্রান্তিক এলাকা। সেখানকার মানুষজন অনেক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত। এখানকার শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য আলাদা করে পার্ক বা অন্য কোনও ব্যবস্থা সেভাবে নেই। অথচ শহর ও শহরতলীর শিশুরা আবার সম্পূর্ণ অন্যভাবে বড় হয়। সেই অভাব পূরণ করতেই এই আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে উৎসবে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু ও কিশোর-কিশোরী অংশগ্রহণ করে।
advertisement
বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর এই উৎসবে অংশগ্রহণ করায় খুশি উদ্যোক্তরা। তাঁরা মূলত পিছিয়ে পড়া এলাকার শিশু ও মহিলাদের উন্নয়নে কাজ করে থাকেন। এই নিয়ে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অপর্ণা দাস জানান, এই ধরণের অনুষ্ঠান এলাকায় প্রথম করা হয়েছে। তাতে মানুষ যেভাবে অংশগ্রহণ করেছে তা যথেষ্ট ইতিবাচক বিষয়।
এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলেই খুব খুশি। বিশেষ করে শিশুরা খুবই খুশি। ভবিষ্যতে এই এলাকায় নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। সেই লক্ষ্যে সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত একটি বেকারি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
নবাব মল্লিক