ধৃত মনিরউদ্দিন খানের বাবা মায়ের দাবি, তাঁদের ছেলে বরাবরই মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত ছিলেন এলাকায়। বাড়িতে মুখচোরা স্বভাবের ছেলে ছিলেন তিনি। দক্ষিণ বারাসাত কলেজে অনার্স নিয়ে পড়াশোনাও করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারস্ট্রোক ইডির, ১০ তারিখেই খুলতে পারে মহারহস্যের জট
মনিরউদ্দিনের গ্রেফতারে হতবাক স্থানীয়রা। এমন একজন ছেলে কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের যুক্ত হয়ে কাজ চালাতেন, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে সকলের মুখে। পুলিশসূত্রে খবর, মনিরউদ্দিন খান জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের হাতে নিজের পরিচয়পত্র ও নথি তুলে দিয়েছিলেন।
advertisement
আগেই জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স আজিজুল হককে গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে জেরা করেই মনিরউদ্দিনের নাম উঠে আসে। মনিরউদ্দিনের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে জঙ্গিদের সিমকার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। অভিযোগ উঠেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গি সংগঠনের প্রচার ও স্লিপার সেল তৈরিতে সাহায্য করতেন ধৃত ছাত্র।
আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বেশ কিছু বছর ধরে আল কায়দা স্লিপার সেল তৈরির কাজ শুরু করেছিল। সেই কাজের মূল হোতা ছিলেন আজিজুল। বাংলাদেশ থেকে আসা জঙ্গিদের ভুয়ো পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি থেকে শুরু করে আজিজুল তাঁদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতেন বলে অভিযোগ। এসটিএফ সূত্রে খবর, মথুরাপুর অঞ্চলে মূলত আরবি ভাষা পড়াতেন আজিজুল। সেই সূত্রেই মথুরাপুরের বাসিন্দা মেধাবী ছাত্র মনিরউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ। এরপরই সেই ছাত্র জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখান বলে জানা যায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাপা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
নবাব মল্লিক