আরও পড়ুন: তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভোগান্তি যাত্রীদের
বছর কয়েক আগেও এই হলগুলিতে নিয়মিত নাটকের শো হতো। এছাড়াও ওয়ার্কশপ, রিহার্সাল তো লেগেই থাকত। তবে গত কয়েক বছরে যেন আস্তে আস্তে হারিয়ে গিয়েছে থিয়েটার চর্চা। এই বিষয়ে এক স্থানীয় নাট্যকার বলেন, থিয়েটার কাদের জন্য? বড়লোক, মধ্যবিত্ত না গরিব তা নিয়ে দ্বিধা থেকে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে নাটকের দর্শক তৈরি হয়নি। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে তারা আর কোনদিন নাটক দেখতে পাবে বলে মনে হয় না।
advertisement
জয়নগর এলাকায় আগে অনেক বড় বড় নাটকের দল ছিল। কিন্তু সংখ্যা কমতে কমতে তা এখন গুটিকয়েককে এসে ঠেকেছে। এক নাট্য পরিচালক এই প্রসঙ্গে বলেন, মূলত পেশাদার বিনোদন শিল্পী আর স্বেচ্ছা সেবক মূলক সংস্কৃতির মধ্যে কোনটাকে বেছে নেবে বা কার অধ্যায়নে হবে নাটক সেসব ঠিক না করে কেবল ঝলমলে মিডিয়ার দুনিয়ায় প্রবেশদ্বার হয়ে গেছি আমরা। নাটকের বিষয়বস্তুতে মেরুদন্ডের অভাব। যার কারণে আজ আমরা এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। করোনার পর থেকে এই সঙ্কট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় রাজনীতিবিদরা এই অবস্থায় থিয়েটারের পাশে এসে দাঁড়ানোর বদলে আরও তাদের কফিনে পেরেক পুঁতে দিচ্ছে বলে অভিযোগ নাট্যমোদীদের।
সুমন সাহা