ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স স্ট্যান্ডার্ড ফি বছর দেশের সব সরকারি হাসপাতালে পরিষেবার মান খতিয়ে দেখে। তার আগে অবশ্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরীক্ষায় দারুণ রেজাল্ট করে এই দুই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ
কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ওঠে। তারপর রাজ্য থেকে এই দু'টি হাসপাতালের নাম কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিচারের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে এই দুই হাসপাতাল।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুষদের খাতায় নাম উঠছে মহিলার! বারবার নির্বাচনী দফতরের ভুলে বিড়ম্বনা শিক্ষিকার
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম দুই হাসপাতালে সাফল্যের উল্লেখ করে জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরের মূল্যায়নের ৮৭ থেকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্বীকৃতি আদায় করেছে বসিরহাট ও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীরাজ রায় হাসপাতালে সাফাই কর্মী থেকে চিকিৎসক নার্স সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সহকর্মীদের সহযোগিতা ছাড়া এই সম্মান পাওয়া যেত না। এর ফলে আগামী তিন বছরের জন্য আর্থিক পুরস্কার পাওয়া যাবে যা হাসপাতালে সার্বিক উন্নয়নের কাজে লাগবে।
আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টি! হাসি ফুটল চাষিদের মুখে, কিন্তু কালবৈশাখীতে সব ভেস্তে যাবে কি
পরিচ্ছনতা থেকে চিকিৎসা বিধি সব ক্ষেত্রেই প্রসূতি ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নতিকে অগ্রাধিকার দিতে লক্ষ্য নামে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি মাপকাঠি রয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য লেবার রুমের পরিষেবা নিশ্চিত করে প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর হার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা।বারুইপুর হাসপাতালের অধ্যক্ষের কথায়, টানা দু'দিন ধরে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রসবের সময় বিশেষজ্ঞরা কড়া নজরদারি করেন। রীতিমতো অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল।
এমনকি প্রসূতি ও প্রসবের পর টিকাকরণ ও খাতা ধরে খুঁটিয়ে দেখেছেন, তারপর স্বাস্থ্য ভবন থেকে ইমেইল করে পুরস্কারের কথা জানানো হয়েছে। প্রতি মাসে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে ৮০০ জন মহিলাকে এখন প্রসব করানো হয়। তার মধ্যে ২৪০ জন মহিলার সিজার হয়।
সুমন সাহা