আরও পড়ুনঃ নদীর জলে ভাসছে টেংরা, পুঁটি, বাটা, কাতলা! ঘটনার কারণ আতঙ্কে ফেলছে মৎস্যজীবীদের
স্কুলে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলা, স্কুলের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজ করা। স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতা করা-সহ একাধিক কাজ করেন তিনি। দেখলে মনে হবে , তিনি অবসরই নেননি।
প্রায় ৪০ বছর এই স্কুলে তিনি কাজ করেছেন। স্কুলের প্রত্যেকটি রুম তিনি চেনেন। অবসরের পর সেই সব টানতো তাঁকে। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠত প্রিয় স্কুল ভবনটির কথা। এরপর আর দেরি করেননি তিনি। স্কুলে চলে আসেন তিনি।
advertisement
রোজ নিয়ম করে কাজ করেন। এভাবে অবসরের পর কেটে গিয়েছে আরও ৮ বছর। নিজের বাকি জীবনটা এভাবেই কাটাতে চান তিনি। এই কাজের জন্য কোনও পারিশ্রমিক নেন না তিনি। স্কুলের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা মুগ্ধ করেছে সকলকে।
ঝন্টুদাদুও রোজ স্কুলে এসে খোঁজ নেন কচি-কাঁচাদের। কোন ছাত্র কী করছে সব নখদর্পণে ঝন্টুদাদুর। অভিভাবকের মত সকলকে আগলে রাখেন তিনি। পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী সকলের খোঁজ নেন তিনি।
এ নিয়ে স্কুলেরই এক ছাত্রী প্রিয়া হালদার জানান, সে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী, পঞ্চম শ্রেণি থেকে দাদুকে দেখছেন। সবসময় হাসিমুখ ঘোরেন তিনি। সকলেই ভালোবাসে দাদুকে।
নবাব মল্লিক