সভা শেষে বকখালি ও গঙ্গাসাগরকে নতুন রূপে গড়ে তোলার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন সুন্দবরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। তিনি জানান বকখালি সমুদ্র সৈকত এই মুহূর্তে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। সেজন্য বকখালি প্রবেশের আগে বানানো হবে ওয়েলকাম গেট। সুসজ্জিত এই ওয়েলকাম গেট দিয়ে প্রবেশ করবে পর্যটকরা। এই ওয়েলকাম গেট বকখালির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও বকখালিতে আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরী করা হবে। যাতে বর্ষার জল দ্রুত বের হয়ে যাবে। এছাড়াও নামখানার ১০ মাইল ও সাগরের রুদ্রনগরে তৈরী করা হবে আধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স। যেখানে বেকার যুবক যুবতীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে স্বনির্ভর হতে পারবে।
advertisement
তিনি আরও জানান কপিলমুনির মন্দিরের সামনে সাগরপাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই ভাঙন রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।সাগর মেলার সময় সমস্ত দেশ থেকে কোটি কোটি মানুষ সাগরে আসেন। সেই গঙ্গাসাগরের সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি এবং আগত পূন্যার্থিদের কথা মাথায় রেখে মন্দির চত্বরকে আধুনিক মানের করে তোলা হবে।
এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক পি উল্গানাথন জানান অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখে কাকদ্বীপের লট ৮ এর কাছে নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরী করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়াও তৈরী করা হবে একটি বড়ো সার্কিট হাউস, যেখানে থাকবে কন্ট্রোল রুম সহ এক্সিবিশন হল।দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন এবং জিবিডিএ এর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আগামীদিনে বকখালি ও সাগর আরও উন্নত ও আধুনিক হয়ে উঠবে। পর্যটকদের কাছেও যা হবে বাড়তি পাওনা। দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও পর্যটকরা এসে সচ্ছন্দে রাত্রিযাপন করতে পারবেন এখানে। এ ছাড়াও মনোরঞ্জনের সমস্ত ববস্থা থাকায় আগামীতে বকখালি ও সাগর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
নবাব মল্লিক